প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নানা রঙে রাঙানো হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের। অনগ্রসর এলাকায় বিনামূল্যে টিফিন দেওয়া হয়। বর্তমানে ঝড়েপড়া রোধ করতে ১০০% উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি চালু করায় শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্যসহ অন্যান্য সমস্যা ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সহকারী শিক্ষকদের বেতনগ্রেড ১৫, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলে সেটি জাতির জন্য লজ্জার। অন্যদিকে প্রধানশিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হলেও এখনো গেজেট প্রকাশিত হয়নি। প্রধানশিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রদান করা হলে বেতন-বৈষম্য দূর হবে। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে।
যেসব রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকগণ বেতন বেশি পান অথচ যারা প্রধানশিক্ষক হিসেবে আগে থেকেই কর্মরত তাঁরা বেতন কম পান। এখানে একটি বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। এটি দূর করা জরুরি। অন্যান্য চাকরিজীবীর পদোন্নতি হলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতি নেই। এটি সত্যিই দুঃখজনক। প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০% পদোন্নতি সময়ের দাবি। আমাদের প্রত্যাশা—শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রাথমিকের সকল বৈষম্য দূর করে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল