বৈশাখী ভাতা ও পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে হলে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে বর্ধিত চার শতাংশ চাঁদা দিতে হবে! বর্ধিত চাঁদা না দিলে অর্থ মন্ত্রণালয় এ খাতে আর কোনো বরাদ্দ দেবে না। জাতীয়করণের প্রসঙ্গ তো আলোচনাই করা যাবে না! এমনসব অলিখিত এজেন্ডা নিয়ে আজকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। বিকেল চারটায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহাবুবুর রহমান বসছেন রাজধানীর ৪৮ প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে। সভায় আমন্ত্রিত একাধিক অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক এমন কথা দৈনিকশিক্ষাকে জানিয়েছেন।
সভায় আমন্ত্রিত একজন অধ্যক্ষ দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, “প্রিয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষায় বুধবার দুপুরে প্রথম দেখতে পাই আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে টেলিফোন পাই। বিকেল নাগাদ ইমেইলে একটি চিঠি পাই যেখানে সভার এজেন্ডা লেখা নেই্।”
“যথারীতি দৈনিকশিক্ষার স্মরণাপন্ন হয়ে দেখতে পাই বৈশাখী ভাতা, পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও অবসর-কল্যাণের চাঁদার খবর। বুধবার সন্ধ্যায় লালবাগ থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জানতে পারি শর্ত সাপেক্ষে বৈশাখী ভাতা অবসর কল্যাণ ছাড়াও অনলাইনে এমপিওর বিষয়ে আলোচনা হবে,” যোগ করেন তিনি।
অভিজ্ঞ এই অধ্যক্ষ আরো বলেন, “কল্যাণট্রাস্টের সূত্রে জেনেছি, বৈশখী ভাতা পেতে হলে অবসর-কল্যাণের বর্ধিত ৪ শতাংশ চাঁদা দিতে হবে। যে কারণে কল্যাণট্রাস্টের কাউকে ডাকা হয়নি বৈঠকে।”
অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য বিদ্যামান ৪ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ এবং কল্যাণট্রাস্টের ২ শতাংশের স্থলে ৪ শতাংশ চাঁদা শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে আদায় করার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনড় অবস্থানের ণিশ্চিত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছর অবসর ও কল্যাণের বর্ধিত চাঁদার গেজেট জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কিন্তু প্রতিবাদের মুখে তা স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এমন প্রেক্ষাপটে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ডাকা হয়েছে মত বিনিময় সভায়। একাধিক সূত্রমতে, ২১ সদস্যবিশিষ্ট কল্যাণট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের কাউকে আজকের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সরকারি শিক্ষকরা পেনশন পান কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা এককালীন অবসর ও কল্যাণ সুবিধার টাকা পান। যেখানে কর্মজীবনে তাদের এমপিও থেকে মোট ছয় শতাংশ টাকা চাঁদা বাবদ কেটে রাখা হয়। সরকারি শিক্ষকদের বেতন থেকে কোনো টাকার কেটে রাখা হয়না।
প্রতিষ্ঠান প্রধানরা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ন্যায্য দাবী। এর সঙ্গে অবসর কল্যাণের চাঁদা বৃদ্ধির যোগসূত্র নেই। তাই কোনো শর্ত মানবেন না তারা।