শহীদ মিনার বাংলাভাষার স্মারক—তার সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। মাতৃভাষার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার ও অহিউল্লাহসহ আরও অনেকে। তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত হয় এই শহীদ মিনার। সেই শহীদ মিনার সংলগ্ন ফুটপাতে এখন দোকান বসে। মানুষ জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে উঠে বসে; বাদাম, চা খেয়ে পরিত্যক্ত বর্জ্যগুলো সেখানেই ফেলে রেখে আসে। একদল লোক ঘুরতে আসার নামে ফুটবলও খেলে। এসব শহীদ মিনারের সম্মান ক্ষুণ্ন করে। আর যারা করে তাদের বেশিরভাগই নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আমরা ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতেই এখানে আসি। আমরা নিজেদের শিক্ষিত দাবি করি ঠিকই, কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন হয়নি। তাই শহীদ মিনারের প্রতি আমাদের এই উদাসীনতা। কেবল একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা শহীদ মিনারের ব্যাপারে আগ্রহী হই। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আসুন নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যকে করি। উল্লিখিত বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা আশা করি।
মো. মাসুদ রানা : শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।