চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র যাতায়াতের বাহন শাটলের দরজায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে যাওয়ার পথে এক শিক্ষার্থীর পায়ের আঙুল কাটা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থী হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তার। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেকে) চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। বারবার নিষেধ করার পরেও শিক্ষার্থী
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরামুল ইসলাম রিমু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে আসা দুপুর আড়াইটার শাটলটি বিকেল পৌনে চারটায় চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে নাজিরহাট থেকে বটতলী রুটে দুপুর ১২ টায় একটি তেলবাহী ট্রেন শহরের ২ নং গেট এলাকায় ব্রিজের উপর পড়ে গিয়ে রেললাইনের একটি রোড দুমড়ে মুচড়ে অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে রেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অন্য (৩ নং) লাইনে শাটল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর ৩নং লাইনের পাশেই নির্মিত হচ্ছে নতুন প্লাটফর্মটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, দরজায় বসে থাকা ওই শিক্ষার্থী জানতেন না, ট্রেন যে হঠাৎ করে অন্য লাইন দিয়ে আসবে। তাই, সে ট্রেনের দরজায় বসা ছিল। ষোলশহর পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর পা ট্রেন এবং নতুন নির্মাণাধীন প্লাটফর্মের মাঝখানে পড়ে। এ মসয় তার এক পা প্রায় থেঁতলে যায় এবং অন্য পায়ের একাধিক আঙুল কাটা পরে। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ষোলশহর পুলিশ লাইনের ইনচার্জ এস আই জাকির হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরগামী ট্রেনে দরজায় বসা অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেকে) পাঠানো হয়েছে। বারবার নিষেধ করার পরও শিক্ষার্থীরা দরজায় বসে।
তিনি আরও বলেন, ‘ষোলশহরের ২ নং গেটে একটি তেলবাহী ট্রেন কাত হয়ে পড়ে গিয়ে লাইন দুমড়ে মুচড়ে যায়। ফলে আমরা বিকল্প রোডে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রণব মিত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তারের ষোলশহরের নতুন নির্মাণাধীন প্লাটফর্মের সাথে ধাক্কা লেগে পায়ের আঙুল কেটে যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। বর্তমানে সে চমেকে চিকিৎসাধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের কাছে শাটলের বগি বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করে আসছে। আর আজকের এই ঘটনাকে শিক্ষার্থীরা বগি না বাড়ানোকেই দায়ী করছে। শিক্ষার্থীরা জানান, শাটলে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকাতেই ট্রেনের দরজায় বসে ও ছাদে উঠে চলাচল করতে বাধ্য হন শিক্ষার্থীরা।