সুনামগঞ্জের শাল্লা ডিগ্রি কলেজে আবাসন সংকট থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সদর থেকে ৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত এই কলেজটিতে লেখাপড়া করতে যায় উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা। আবাসন না থাকায় নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটছে।
শুরুতে মাত্র ২৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে মানবিক, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও ডিগ্রিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। কলেজে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, যুক্তিবিদ্যাসহ মঞ্জুরীকৃত ২৫টি পদের মধ্যে শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন, বাকি ৮টি পদ এখনও শূন্য রয়েছে।
শাল্লা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজন কান্তি রায় বলেন, ‘হাওরের দুই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। বর্ষাকালে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করতে আসে। পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে স্কুল কলেজে আসার কারণে তাদের মধ্যে ক্লান্তিবোধ কাজ করে। অপরদিকে বেহাল যোগাযোগ অবস্থার কারণে যথাসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে না পারায় নিয়মিত ক্লাসে হাজির হতে পারে না শিক্ষার্থীরা। হোস্টেল না থাকায় দুর্গম জনপদের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দ্রুত কলেজ হোস্টেল নির্মাণের দাবি জানাই সরকারের কাছে।’
শাল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘আমাদের কলেজসহ হাওর এলাকায় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হোস্টেলের ব্যবস্থা করা না গেলে শিক্ষার হার ও মান কোনোটাই বাড়বে না। কারণ হাওরে দরিদ্র মানুষের বসবাস। তাদের সামর্থ্য নেই যে টাকা খরচ করে লজিং বাড়িতে রেখে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করবে। তাই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার উন্নয়নের জন্য দ্রুত কলেজ ক্যাম্পাসে আলাদা দুটি হোস্টেল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি।’