সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে মাদরাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে চড় মেরে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভয়ে অন্য শিশুরা মাদরাসা ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাদের অভিভাবকরা। এনায়েতপুরের গোপালপুর বন্ধন তালিমুল কোরআন নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মাদরাসা উন্নয়নের নামে গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে জলসা মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে শিক্ষার্থীদের হৈচৈকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক মুহতামিম মাওলানা আমিরুল ইসলাম রেগে যায়। একপর্যায়ে তিনি ক্ষেপে গিয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাতকে ধাওয়া দিয়ে ধরে চড় মারেন। এতে তার কানের পর্দা ফেটে যায়।
স্থানীয়রা রিফাতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিউল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রটিকে যখন তার কাছে আনা হয়, তখন কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে’।
রিফাতের বাবা বুলবুল হোসেনের অভিযোগ, ঘটনাটি মীমাংসার নামে গোপন রাখা হয়। , কারণে-অকারণে প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায়ই মারধর করা হয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চড় মেরে তার ছেলের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়া হলো’।
প্রধান শিক্ষক বলেন, একশ থেকে দেড়শ বাচ্চা পড়ানো খুবই কঠিন কাজ। তারা কথাও ঠিকমতো শুনতে চায় না। অনেক সময় বাধ্য হয়ে শাসন করতে হয়। ঘটনাটি যেভাবেই ঘটুক, মুরব্বিরা মীমাংসার চেষ্টা করছেন।
মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মোল্লা জানান, এর আগেও এ ধরনের ঘটনায় এক শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন। বেলকুচির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও মো. রহমত উল্লাহ জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।