সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি কলেজের মসজিদের পাশের খোলা প্রস্রাবখানার দুর্গন্ধ কলেজের পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট করছে। শিক্ষার্থীদের প্রবেশপথেই বেশ কয়েকটি খোলা প্রস্রাবখানা থাকার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসল্লিদের প্রবেশপথ একটি হওয়ায়ও সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
জানা গেছে, ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে কলেজটি সরকারি করা হয়। পরবর্তী সময়ে অনার্স কোর্স চালুর পর বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবদুস ছাত্তার জানান, প্রতিদিন নামাজের সময় মসজিদটিতে বহিরাগত মুসল্লি ও তাবলিগ জামাতের লোকদের অবাধ ব্যবহারে খোলা টয়লেটগুলো পরিবেশ নষ্ট করছে। কলেজ কম্পাউন্ডের ভেতর হলেও ধর্মীয় কারণে প্রস্রাবখানা বন্ধ করা যাচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে এর অবস্থা আরও খারাপ হয়।
এদিকে মসজিদটির জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মো. মোজাহার আলী ও তাঁর ভাই মোফাজ্জল হোসেন ভোলা বলেন, ‘মসজিদের জায়গা নিয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি রায়ের অপেক্ষায়। তবে পশ্চিম পাশে সরকারি জায়গা মসজিদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক।’
সরকারি জায়গা পাওয়ার পরও আবার আদালতে মামলার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ‘বিষয়টি বিচারাধীন। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে শাহজাদপুরে যোগদান করেছি। গত বিজয় দিবসে জানতে পারি, শাহজাদপুর সরকারি কলেজের মসজিদ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমি কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেছি, কলেজের মসজিদে বহিরাগত মুসল্লিদের প্রবেশ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে। কলেজ মসজিদের প্রস্রাবখানা পাবলিক টয়লেট বানানো যাবে না।’