শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাচীর থাকলে চলবে না - Dainikshiksha

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাচীর থাকলে চলবে না

ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী |

সাম্প্রতিক সময়ে অরিত্রীর মৃত্যু আমাদের খুব বেশি ভাবিয়ে তুলেছে। এটি নিয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন আর দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে। তবে কি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে যে ধরনের সম্পর্ক থাকা উচিত সেটি নেই? কিংবা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কোথাও কি কোনো একটা বিষয়ের অপূর্ণতা থেকে যাচ্ছে, নাকি যান্ত্রিকতা আমাদের এমনভাবে জাপটে ধরেছে যে যেখান থেকে আমরা কেউ বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পাচ্ছি না? অথবা অন্য কোনো উপাদান, যা হয়তো আমরা ভাবছি কিংবা ভাবছি না তা অগোচরেই দিনের পর দিন আমাদের মধ্যে থেকে যাচ্ছে? হয়তো এটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ হতে পারে, সামাজিক প্রেক্ষাপটের নিরিখে এর প্রভাব কী তা নিয়েও অনেক কাজ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এ ধরনের ঘটনা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। কিন্তু কিভাবে?

অনেক দিন ধরেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। তবে বেশির ভাগই বলছেন, যতই দিন গড়াচ্ছে সম্পর্কের বিষয়টিতে ততই অবনতি ঘটছে। কেন ঘটছে সেটিও বিভিন্নভাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু এর সমাধানের পথটা কেউ খুঁজছে না। যদি ‘শিক্ষক’ সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি উপাদান বলে বিবেচিত হয়, তাহলে শিক্ষকের মূল লক্ষ্য হবে কিভাবে যেকোনো বিষয়ের শিক্ষাকে আনন্দময় করে তোলা যায়। স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘যে শিক্ষায় আনন্দ নাই, সে শিক্ষা শিক্ষা নয়।’ ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখব, সক্রেটিস ছিলেন প্লেটোর শিক্ষক, প্লেটো ছিলেন অ্যারিস্টটলের শিক্ষক, অ্যারিস্টটল ছিলেন আলেকজান্ডারের শিক্ষক। এখানে শিক্ষা, দর্শন, গবেষণা ও বহুমাত্রিক ভাবনা একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে অদৃশ্য শক্তি ও সত্তার বিকাশের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছে।

তাঁদের মধ্যে গুরু-শিষ্যের নিবিড় সম্পর্ক থাকলেও তাঁদের জ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তার ভিন্নতা ছিল। এঁদের মধ্যে শিক্ষক হিসেবে সক্রেটিসের জীবনাচারের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তাঁর কথাবার্তা ও আচার-আচরণ মানুষকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করেছে। তাঁর সঙ্গে যাঁদের আলাপ-আলোচনা হতো তাঁরা মুগ্ধ হয়ে তাঁর কথা শুনতেন। অনেকেই বলে থাকেন, তিনি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রদান করতেন না। বরং প্রকৃতি, রাস্তাঘাট, হাট-বাজারকে তিনি শিক্ষায়তন হিসেবে বিবেচনা করেছেন। শিক্ষা ও দর্শনের মাধ্যমে জ্ঞান সৃষ্টির জন্য তিনি নিজেকে এতটাই আত্মনিয়োগ করেছিলেন যে এর ফলে সংসার ও জীবিকার বিষয়টি তাঁর কাছে গৌণ হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে তাঁর পরিবারকে জীবনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়েছে। বেশির ভাগ সময়ই তিনি শিষ্যদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করতেন। স্ত্রী জানথিপির সব সময় বলতেন, তাঁর নিষ্কর্মা স্বামী পরিবারের জন্য সৌভাগ্য না এনে দুঃখ-কষ্টই এনেছেন বেশি। তবে বাইরে যতই তিক্ততার মনোভাব থাকুক না কেন, ভেতরে ভেতরে স্বামীর জন্য প্রচণ্ড ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল।

শিক্ষকের মন যে উদার, সর্বজনীন ও আন্তরিক হবে সক্রেটিস তার দৃষ্টান্ত। কারণ এগুলোর মাধ্যমেই একজন শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীর মনের গভীরে প্রবেশ করে প্রকৃত চিন্তাশক্তি বের করে আনেন। যে চিন্তাশক্তি বাস্তবিকই একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। এমন শিক্ষক হতে হবে, যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী নিজের মধ্যে কল্পনাশক্তি সৃষ্টি করে বাস্তবে তা প্রয়োগ করতে সমর্থ হবে। মানুষ তার স্বপ্নের সমান কিংবা তার স্বপ্নের চেয়েও বড়—এ বিষয়গুলো জানতে ও বুঝতে পারবে। পৃথিবীর অনেক দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাঁদের নিজের দায়বদ্ধতা থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়ে থাকেন। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের ইতিবাচক সংস্কৃতি নেই। যদি স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ক্লাস নিতেন, তাহলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি বের করে আনা সম্ভব হতো। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ লেখক শেকসপিয়ার ও তাঁর বন্ধুরা কিংস নিউ স্কুলে শিক্ষার সময়ে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ থেকে পাস করা অধ্যাপকরা পড়াতেন।

এঁদের মধ্যে ছিলেন ব্রাউন শোডের মতো লাতিন কবি, ওয়াল্টার রোশের মতো আইন বিশেষজ্ঞ।  আমরা অনেকেই মনে করি, বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখে মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করেন। আবার এই আপেলগাছ নিয়েও অনেক তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ৩৫৮ বছর আগের এই গাছটির অবস্থান ছিল ইংল্যান্ডের লিংকনশায়ার উইলসথর্প ম্যানরে। কেউ কেউ বলেন, এই গাছের বংশধর কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের প্রধান ফটকের পাশে বেড়ে উঠতে দেখা যায়। নিউটন ট্রিনিটি কলেজে অধ্যয়নকালে যে কক্ষে থাকতেন তার ঠিক নিচেই গাছটি অবস্থিত। কিন্তু অনেক গবেষক বলছেন, নিউটনের আবিষ্কারের সঙ্গে আপেল পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এটা উল্টো হতে পারে, যেমন কোনো একজন শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীকে কিভাবে মহাকর্ষ সূত্র সহজে বোঝানো যায়, তা নানাভাবে ভেবেছেন। সেখান থেকে একটা সৃজনশীল ধারণা তিনি বের করে এনেছেন। আপেল পড়ার গল্পের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের মনের ভেতরে কাল্পনিক একটা জগৎ সৃষ্টি করে মহাকর্ষ সূত্রের চিন্তাশীলতাকে প্রবেশ করিয়েছেন। একইভাবে আর্কিমিডিসের প্লবতার সূত্র সহজে বোঝানোর জন্য হয়তো কোনো একজন শিক্ষক চৌবাচ্চায় গোসল করার বিষয়টিকে উদাহরণ হিসেবে এনেছেন।

শিক্ষকরা যখন একটি ক্লাস নেবেন, তখন তাঁদের এর জন্য গভীরভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রতিদিন সময়ের সঙ্গে শিক্ষার উপাদানগুলো যে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতির বদলে শিক্ষাকে কিভাবে বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে আনন্দের অনুসর্গ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো যায়, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বিরূপ না হয়ে কিভাবে শিক্ষার প্রতি নিজে থেকেই আকৃষ্ট হবে, সে পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে গবেষণা করতে হবে। গবেষকরা বলছেন, অবসাদজনিত কারণে একজন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। শিক্ষকদের শিক্ষা পদ্ধতি যেন এমন না হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা অবসাদগ্রস্ত ও হতাশ হয়ে পড়ে। শিক্ষক যখন ভালো পড়ান তখন তাঁর প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর যেসব বিখ্যাত শিক্ষক ছিলেন তাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মনের ও আত্মার একটি নিবিড় সম্পর্ক ছিল। কখনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে কাল্পনিক প্রাচীর ছিল না। অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষকদের নেতৃত্ব ও প্রণোদনা দেওয়ার দক্ষতাকে প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে শিক্ষকের মধ্যে যদি নেতৃত্ব ও প্রণোদনা দেওয়ার গুণাবলি না থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে না।

আলবার্ট আইনস্টাইন পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি তো বড় বড় গবেষণা করেছেন। কিন্তু ভাবলে অবাক হতে হয়, এই বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর কোনো ল্যাবরেটরি বা গবেষণাগার ছিল না। তাঁর সব বড় আবিষ্কারের পেছনে মাত্র তিনটি জিনিস ছিল। এর দুটি হলো কাগজ-কলম আর সবচেয়ে বড়টি ছিল তাঁর চিন্তাশক্তি। শিক্ষকদের মধ্যে যেমন এ ধরনের চিন্তাশক্তির দক্ষতা থাকতে হবে, তেমনি কিভাবে শিক্ষাকে সহজভাবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীর ভেতরের চিন্তাশক্তিকে বের করে আনা যায় সে বিষয়টি নিয়েও ভাবতে হবে। ফিনল্যান্ড ও জাপানের মতো অনেক দেশেই শিক্ষা পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই। তাদের শিক্ষার প্রধান কৌশল হচ্ছে কিভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষার চাপের মধ্যে না ফেলে শিক্ষার বিভিন্ন আনন্দদায়ক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভেতরের চিন্তাশক্তিকে বের করে আনা যায়। টমাস আলভা এডিসন আরেকজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের তখন শিশুকাল। এক দিন এডিসন ঘরে এসে তাঁর মাকে একটি মুখবন্ধ খাম দিলেন। তিনি তাঁকে বললেন, ‘আমার শিক্ষক আমাকে কাগজটি দিয়েছেন এবং শুধু তোমাকেই দিতে বলেছেন।’ মা চিঠিটি জোরে পড়া শুরু করলেন এবং তাঁর চোখভর্তি পানি, ‘আপনার পুত্র মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই।

দয়া করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।’ তাঁর মা মারা যাওয়ার অনেক বছর পরের কথা। এডিসন তখন শতাব্দীর সেরা আবিষ্কারক। এক দিন তাঁর পারিবারিক পুরনো জিনিসপত্র দেখছিলেন। একটি ডেস্কের ড্রয়ারের কোনায় হঠাৎ তিনি একটি ভাঁজ করা কাগজ পেলেন। তিনি সেটি খুললেন। কাগজে লেখা ছিল—‘আপনার সন্তান স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন। আমরা তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।’ এডিসন কয়েক ঘণ্টা ধরে কাঁদলেন। কারণ এডিসন বুঝতে পারলেন তাঁর মা সেদিন বড় কিছু ভাবেননি। বরং তাঁর চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে ভেবেছেন কিভাবে একটা নেতিবাচক ধারণাকে ইতিবাচক ধারণায় পরিণত করা যায়। তিনি টমাস আলভা এডিসনকে গড়ার আগেই ভেঙে দেননি বরং তাঁর মধ্যে এই ধারণা সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর মতো মেধাবী আর কেউ নেই। কয়েকটি শব্দের ইতিবাচক পরিবর্তন এডিসনের জীবন পাল্টে দিয়েছিল। এখানে এডিসনের মা একজন শিক্ষকের মতো কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁর স্কুলের শিক্ষকরা তা পারেননি। আমাদের দেশের সব স্তরের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি উদার ও ইতিবাচক ভাবনাই পারে শিক্ষার্থীদের জীবন বদলে ফেলতে। যদি শিক্ষকরা স্বৈরাচার নামের দেয়ালটি ভেঙে ফেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাণের ও জীবনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আর অরিত্রীদের এভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে না। এর সঙ্গে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে তার চাপমুক্ত মেধাশক্তি প্রয়োগ করে চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটাতে পারে।

 

লেখক : অধ্যাপক, কলামিস্ট, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

 

সৌজন্যে: কালের  কণ্ঠ

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069971084594727