পিরোজপুরের কাউখালীতে উত্তর বিড়ালজুড়ী সত্তার হেলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকলেও নেই পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী। দক্ষ শিক্ষক না থাকা, শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনীহা, ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় একাধিক স্কুল থাকা ও দুর্গম এলাকায় স্কুলটির অবস্থান হওয়ায় শিক্ষার্থী ঘাটতির কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত নেই, শিক্ষকরা অফিস কক্ষে বসে আছেন। স্কুলটিতে বর্তমানে শিশু শ্রেণিতে ১০ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ২ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী নেই এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৩ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় স্কুলটি থেকে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বিদ্যালয়হীন এলাকায় ‘১৫শ প্রাথমিক বিদ্যালয় শীর্ষক উন্নয় প্রকল্প’ পিইডিপি-৩ এর আওতায় উত্তর বিড়ালজুড়ী সত্তার হেলেন সরকারি প্রাথমিক স্কুলটি অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে। স্কুলটির নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে প্রেষণে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। পরে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিলে শিক্ষকের সংখ্যা ৪ জনে গিয়ে দাঁড়ায়।
এ বিষয়ে স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয়টি দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এখানে কোনো শিক্ষার্থী আসতে চায় না। স্কুলটির সামনের খালের সাঁকো পাড় হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই স্কুলে আসতে না চাওয়ায় শিক্ষার্থী সংখ্যা কম।
স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো চেষ্টা নেই। স্কুলটিতে দক্ষ প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে না। স্কুলটিতে একজন দক্ষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে আশানুরূপ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাকিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়টির ক্যাচমেন্ট এলাকায় আরও ২টি পুরাতন প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার কারণে নতুন স্থাপিত বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংকট দেখা দিয়েছে। তবে নতুন বছরে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য শিক্ষকদের জোর প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।