শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বিনিয়োগেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এর সাথে সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল এসব বিষয় তুলে ধরেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্লাসরুমে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা বলেন মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ব্যবস্থাপকীয় এবং একাডেমিক দিক থেকে অবশ্যই দ্বিমুখী যোগাযোগ বা টু-ওয়ে কমিউনিকেশন থাকতে হবে। সাক্ষাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেবার আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এ সময় প্রক্রিয়াটি ন্যাশনাল টাস্কফোর্স সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন, সঠিক শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদানে প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বিনিয়োগেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই শিক্ষাকে "দ্বিতীয় সুযোগ কার্যক্রম" উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে কারিগরি দিক থেকে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ পরিচালক হাইমে সাভেদ্রা, ব্যবস্থাপক ক্রিস্টিয়ান এদো, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সৌরভ দেব ভট্ট ও রাশেদ আল জায়েদ, জ্যেষ্ঠ পরিচালন কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান এবং বিশ্লেষক এম.মার্সেলা। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরো জানান, পিইডিপি-৪ এর আওতায় সক্ষমতা-ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক জ্ঞানকে আঞ্চলিকভাবে প্রয়োগে মন্ত্রণালয় ক্রমাগত গবেষণা করে যাচ্ছে।
তবে, প্রতিমন্ত্রীর সাথে আলোচনাকালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোনও অস্বচ্ছতা কিংবা জবাবদিহিতার অভাবের বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলেননি বলেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।