শিক্ষক নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জ মিঠামইন উপজেলার ৬নং কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের কাকুয়া গ্রামের গৃহবধূ আকলিমা খাতুনের কাছ থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করা রয়েছে। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের আমলি আদালতে ভুক্তভোগী আকলিমা খাতুন গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

আকলিমা খাতুন বলেন, ২০১৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় অংশ নেন তার স্বামী আবু হানিফ। বিশেষ কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালে স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষা শুরু হলে আবু হানিফ এতে অংশ নেন। ২০১৮ সালের এপ্রিলে আকলিমার স্বামীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন চেয়ারম্যান। নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তার স্বামীর নাম না থাকায় চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের কাছে টাকা ফেরত চান। তখন টাকা দেবে বলে কথা দেন চেয়ারম্যান। পরে ৩-৪ কিস্তিতে ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা ফেরত চাইলে ফের ২০১৯ সালে নিয়োগের সময় চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে রাজি হননি তারা। পরে একই বছর ৪ অক্টোবর রাতে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে আবু হানিফের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার স্বীকারোক্তি মোবাইল ফোনে রেকর্ড নেন। ঘটনার দিন বাড়ি ছিলেন না আকলিমা।

বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিককে জানানো হয়। এরপর থানায় গিয়ে চেয়ারম্যান তাজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি ফাইল বন্দি রয়েছে। তিনি জানান, এ টাকা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ করে নিয়েছেন। ঋণের টাকার সুদ দিতে না পারায় নিরুপায় হয়ে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন আবু হানিফ।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ঘটনাও ষড়যন্ত্রের অংশ। এর আগেও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছিল কামরুল নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। তা তদন্তে
প্রমাণিত হয়নি।

মিঠামইন থানার ওসি জাকির রাব্বানী জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর এসআই নজরুল ঘটনাটি তদন্ত করছেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে তা আর হয়নি। আকলিমা খাতুন থানায় আর কোনো যোগাযোগ করেননি। তবে আদালতে একটি মামলা হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।

রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা - dainik shiksha রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ - dainik shiksha ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ - dainik shiksha উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ - dainik shiksha আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040500164031982