বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের রায়ের আলোকে বয়সসীমা নির্ধারণ, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং জাতীয় মেধা তালিকার মাধ্যমে নিয়োগের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কারণ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ মানেই টাকার খেলা। অনার্স-মাস্টার্স পাস করে নিবন্ধন পরীক্ষা দিলেও পাসের হার ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেন, তারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য।
নতুন নতুন নিয়ম চালু করে বেকারদের নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। একবার নিয়ম করা হলো, ৪০ নম্বর পেলেই পাস। তারপর নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা, সনদের মেয়াদ ৫ বছর। আবার কখনও আজীবন করা হচ্ছে। বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নিয়োগে এত বিলম্ব মোটেও কাম্য নয়। কারণ প্রতিদিনই শত শত নিবন্ধনপ্রাপ্তের বয়স ৩৫+ হয়ে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ বাণিজ্যের সুযোগের আশায় শূন্য পদের চাহিদাপত্র দেননি।
সব জাল সনদধারীর সনদ বাতিল করে, সব প্রতিষ্ঠানকে শূন্য পদের চাহিদা দিতে বাধ্য করলে প্রকৃত নিবন্ধিতদের ব্যবস্থা হবে। সমাজ ও দেশের টেকসই উন্নয়নে যোগ্য শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। তাই যে কোনো মূল্যে যোগ্য ব্যক্তিদের শিক্ষক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঝিনাইদহ