আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবসে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। একইসাথে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ বছরের বেতন মওকুফ করে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কেনার অনুদান দেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। আর পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা ছাড়া অনলাইন ক্লাস শুরু না করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষ দিবস উপলক্ষে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আয়োজিত মিছিল ও সমাবেশে ৪ দফা দাবি জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান শাসকদের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন মোস্তফা, ওয়াজিউল্লা, বাবুল। সেদিন শরীফ কমিশনের শিক্ষা নীতির বিরূদ্ধে এ দেশের ছাত্রজনতা সাহসের সাথে দাঁড়িয়েছিল। সে শিক্ষা নীতিতে শাসকগোষ্ঠি দম্ভের সাথে বলেছিল ‘ ...সস্তায় শিক্ষা লাভ করা যায় বলিয়া তাহাদের যে ভুল ধারণা রহিয়াছে, তাহা শীঘ্রই ত্যাগ করিতে হইবে, যেমন দাম তেমন জিনিস।’ এই নীতির বিরুদ্ধে বুকের রক্ত ঢেলে সেদিন এই নীতিকে ছাত্ররা রুখে দিলেও আজ ৫৮ বছর পরেও সর্বশেষ ‘কবির চৌধুরী শিক্ষা কমিশন’ এ আমরা একই নীতির প্রতিফলন দেখতে পাই।
বক্তারা আরও বলেন, আজও শিক্ষাকে সর্বত্র ব্যবসায়িকীকরণ-বাণিজ্যিকীকরণের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র বাণিজ্যিকীকরণের ভয়াল থাবা আমাদের শিক্ষার মূল উদ্যেশ্যকে ব্যহত করছে। বর্তমানে করোনা মহামারিতেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আয়োজন ছাড়া অনলাইন ক্লাসের মধ্য দিয়ে এখানকার শিক্ষার সংকোচন ও বৈষম্যকেই বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষাথী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় অনলাইন ক্লাসে থাকায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। ডিভাইস ক্রয়ের জন্য শিক্ষার্থী ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যা করোনাকালে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় অমানবিক। ঋণের কথা বলে প্রশাসন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। বক্তারা এই ঘোষণার তীব্র বিরোধীতা করেন। তারা, অবিলম্বে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষা ঋণের পরিবর্তে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান।
প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের পরিচালনায় সমাবেশে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, অর্থ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমাসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন।