ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরে একটি বাসা থেকে কলেজ শিক্ষক রাজীব বিশ্বাস ও তার স্ত্রী স্মৃতি বণিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী মৃত অবস্থায় শয্যায় শোয়া ছিলেন আর স্বামীকে সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় পাওয়া যায়। গত রাত ৮টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চঘাট এলাকার একটি বাসার দরজা ভেঙে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
তারা দুজনই গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী এলাকার বাসিন্দা। স্মৃতি বণিক মুকসুদপুরের বাটিকামারী এলাকার খোকন বণিকের মেয়ে। তবে রাজীবের বাবার নাম জানা যায়নি। এলাকাবাসী জানায়, দুই বছর আগে ফরিদপুরের লঞ্চ ঘাট এলাকার মো. বরকাতের একতলা পাকা বাড়িটি ভাড়া নেন তারা। রাজীব একটি কলেজে শিক্ষকতা করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, সকালে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার কথা শুনেছেন। বিকাল পর্যন্ত রাজীব ও স্বপ্না যে বাড়িতে থাকেন সেটির প্রতিটি দরজা ও জানালা ভিতর থেকে আটকানো ছিল। সন্ধ্যায় ওই বাড়ির কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরের জানালা বাইরে থেকে খুলে দেখতে পান রাজীবের শরীর সিলিং ফ্যানে ঝুলছে এবং স্বপ্না একই কক্ষে শয্যায় পড়ে আছেন। পরে তারা পুলিশে খবর দেন।
স্বপ্নার আত্মীয় গোপাল পোদ্দার জানান, দুই বছর আগে রাজীব ও স্বপ্না নিজেদের পছন্দমতো বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর তারা ফরিদপুর শহরে এসে বসবাস করা শুরু করেন। এ দুই বছরে তাদের কোনো সন্তান হয়নি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক বেলাল হোসেন জানান, পুলিশ দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজীবের এবং শয্যায় পড়ে থাকা অবস্থায় স্বপ্নার মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, যে ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় সেটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।