বরগুনার তালতলীতে শিক্ষক স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে তার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষককে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া গোড়াপাড়া গ্রামের আবদুল গনি তালুকদারের ছেলে ও আগাপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহতাবের (৪০) সাথে একই এলাকার আগাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামে মেয়ে আয়েশা বেগমের (৩০) সাথে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক যুগ অতিবাহিত হলেও তাদের কোন সন্তানাদি না হওয়ায় তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি ও পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। শিক্ষক মাহতাব সন্তান জন্মদানে অক্ষম ও ছাত্রীর সাথে পরকীয়া করছেন এমন সন্দেহে আয়েশা বেগমে এ কাজ করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন রাতে স্বামী-স্ত্রী বাড়ীতে একই সাথে ছিলেন। রাত অনুমান আড়াইটার দিকে স্বামী মাহাতাব প্রচুর ব্যথা অনুভব করলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি দেখতে পান তার পরনের কাপড় রক্তে ভেজা। তখন স্ত্রীকে ডেকে না পেয়ে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকারে পাশের বাড়ীর লোকজন এসে দেখেন শিক্ষক মাহতাবের পুরুষাঙ্গ কাটা ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ সময় মাহাতাবের স্ত্রীকে তাদের ঘরে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর ধারণা স্ত্রী আয়েশা বেগমই স্বামীকে অচেতন করে ঘুমের মধ্যে তার পুরুষাঙ্গ কেটে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে একটি ধারালো চাকু ও পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
আহত অবস্থায় স্বজন ও স্থানীয়রা শিক্ষক মাহতাবকে উদ্ধার করে সে রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে স্ত্রী আয়েশা বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামীর সাথে তার বিদ্যালয়ের একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি সে মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের পরকীয়া সম্পর্ক এখনো আছে। সে কারনে আমি সন্তান নিতে চাইলেও আমাদের বিয়ের বার বছরেও কোন সন্তানের মুখ দেখিনি। যা নিয়ে প্রায়ই আমাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগে থাকে। এ ঘটনা নিয়ে রাতে স্বামী মাহাতাবের সাথে আমার কথা কাটাকাটির হয়। রাতে সে আমাকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এরপর আমি আমার বাপের বাড়ী চলে যাই। সকালে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার খবর শুনেছি।
অন্যদিকে মাহাতাবের পরিবাবের দাবি আয়শা আক্তারের সাথে তার খালাতো ভাই রফিকের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি মো. শাহীনুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।