কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বখাটে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করার ঘটনায় অবশেষে থানায় বখাটে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) নিকলী থানায় এ মামলা করা হয়। গত মঙ্গলবার হাবিবুর রহমান হাবিব (৩২) ও মো. নোমান (২৭) নামে দুই শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বখাটে ছাত্ররা। এদিন রাতেই কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। আহত দুই শিক্ষকই উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
সংশ্নিষ্ট সূত্র ও পুলিশ জানায়, মজলিশপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মো. হাবিবুর রহমান হাবিব গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মো. নোমানের বাড়ি কারপাশায় বেড়াতে যান। সেখানে তারা নানা বিষয়ে আলাপ-আলোচনার পর হাবিবুর রহমান বাড়িতে ফিরে আসার সময় নোমান তাকে এগিয়ে দিতে যান।
নিকলী-করিমগঞ্জ সড়কের বদরপুর সীমানায় এ দুই শিক্ষক রাস্তার পাশে বিশ্রাম করার সময় ওই স্কুলেরই সাবেক ও বর্তমান কয়েক ছাত্র রড ও ছুরি নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। ছাত্রদের রডের আঘাতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পিঠ জখম হয় এবং তার হাত ভেঙে যায়। ছুরির আঘাতে নোমানের থুঁতনিসহ একাধিক জায়গা কেটে যায়।
এদিন রাতেই আহত দুই শিক্ষককে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন।
আহত দুই শিক্ষক জানান, এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় তারা কয়েক ছাত্রকে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য শাস্তি দিয়েছিলেন। এ কারণেই কিছু বখাটে ছাত্র হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি নিকলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হোসেন আলীও একই কথা জানান।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন ভূঞা জানান, এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার নিকলী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।