মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাঁচ যুবক। যুবকদের আটক করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার বিকালে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার উপজেলার জয়কা সাতাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারকে পরিকল্পিতভাবে হেরোইন সাদৃশ্য বস্তু দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে ওই যুবকরা।
তারা বিদ্যালয়ের মাঠে রাখা ওই শিক্ষকের মোটরসাইকেলের তেলের ট্রাংকের নিচে নেকরার মধ্যে হিরোইন সাদৃশ্য বস্তু রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকের পক্ষে এলাকার গণ্যমান্য ও নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিরা থানায় ছুটে গিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার শিক্ষককে তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।
এদিকে, শিক্ষককে ফাঁসানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে জোর তৎপরতা চালিয়ে থানা পুলিশ গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের জয়কা গ্রামের ফয়সাল (২৬), দ্বীন ইসলাম (৩৪), পৌর এলাকার চকপাড়া গ্রামের নিবির (১৯), মাসকা গ্রামের আলী হোসেন (২৫) ও রকি (২০) নামে পাঁচ যুবককে আটক করে।
মাসকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঞা বলেন, শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারকে পরিকল্পিতভাবে হেরোইন সাদৃশ্য বস্তু দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিদ্যালয়ের ছাত্র-অভিভাবকসহ সুধীজন ও এলাকাবাসীসহ আমরা ন্যক্কারজনক এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, শিক্ষককে ফাঁসানোর ঘটনায় ওই পাঁচ যুবক জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে আরও রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।