ঝালকাঠির নলছিটির উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান অফিস সহকারী নাসিমা পারভীন ও অপর অফিস সহকারী মো. মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষকের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল ইসলামকে অভিযোগগুলো প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও), অভিযোগকারী শিক্ষকরা ও ওই দুই অফিস সহকারীর উপস্থিতিতে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাপ্তরিক কাজে শিক্ষা অফিসে গিয়ে অফিস সহকারী নাসিমা পারভীন ও মো. মাসুদ হোসেনের কাছে ধরনা দিতে হয়। বিভিন্ন কাজের জন্য তারা ঘুষ নেন। শিক্ষকরা বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের অবহিত করলে শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে শুরু করেন ওই দুই অফিস সহকারী।
এরই জেরে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক দুদকে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
তবে অভিযোগে দেয়া স্বাক্ষরগুলো ওই শিক্ষকদের নয় বলে দাবি করেছেন একাধিক শিক্ষক। যদিও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির সামনে সাক্ষ্য না দেয়ার জন্য তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অফিস সহকারী নাসিমা পারভীন ও মো. মাসুদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।তারা বলেন শিক্ষকদের স্বাক্ষর জাল করে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ওই শিক্ষকরা আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বলে তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন তারা।
নলছিটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, দুদকের পাশাপাশি আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল ইসলাম জানান, তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে।