বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার খাতা দেখার সম্মানী ও অন্যান্য সম্মানী বাবদ শিক্ষকদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ২৭১ টাকা পরিশোধ করছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। ১৯ মে’র মধ্যে ডাচবাংলার মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে শিক্ষকদের এ টাকা পৌঁছে দেয়া হবে। সোমবার (১১ মে) শিক্ষা বোর্ডের হিসাব অফিসার ইমদাদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইমদাদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ২৭১ টাকা দিয়ে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জেএসসি পরীক্ষক, ২০১৯ ও ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন সেটর, মডেরটর ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষকের বকেয়া বিল দেয়া হবে। বুধবার ডাচবাংলা ব্যাংকের কাছে এই চেক হস্তান্তর করা হবে। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবারের মধ্যে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যাংকে টাকা পৌঁছে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন : জেএসসির খাতা দেখার টাকা পেলেন ঢাকা বোর্ডের শিক্ষকরা
করোনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা দেখার সম্মানী চায় শিক্ষকরা
কারিগরি বোর্ডের খাতা দেখার সম্মানী দ্রুত পরিশোধের তাগিদ
জানা গেছে, যশোর শিক্ষা বোর্ড ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জেএসসি পরীক্ষকদের বিলের সাথে ২০১৯ ও ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন সেটর, মডেরেটর ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষকের বকেয়া বিলের চেক পাস করেছে। জেএসসি পরীক্ষকদের সাথে অন্য শিক্ষকরাও তাদের বকেয়া বিল পাবেন।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে জেএসসিতে পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষক ও নিরীক্ষক ছিলেন ৬ হাজার ১৮৪ জন। তাদের জন্য চেক পাস করা হয়েছে ৩ কোটি ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪৪ টাকা। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসিতে প্রশ্ন সেটর ও মডেরেটর ছিলেন ৩১৫ জন। তাদের জন্য চেক পাস করা হয়েছে ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬০ টাকা। ২০২০ এইচএসসিতে প্রশ্ন সেটর ও মডেরেটর ছিলেন ৩৩১ জন। তাদের জন্য ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৫২৫ টাকার চেক পাস করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ৪৬ জন এইচএসসি পরীক্ষকের ডাচবাংলা মোবাইল ব্যাংকিং চালু না থাকায় তাদের জন্য নতুন করে ৪ লাখ ১৩ হাজার ১৪২ টাকার চেক পাস করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘এসব বেশ আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনা দুর্যোগের জন্য কিছু দিন দেরি হয়ে গেল। দেশের অবস্থা পূর্বের মতো থাকলে শিক্ষকরা আরও আগেই বিল পেয়ে যেতেন।’
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘শিক্ষকরা যেন সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারেন, তাই এই দুর্যোগের মধ্যেই চেক পাস করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই সব শিক্ষক তাদের বিল পেয়ে যাবেন। তার যোগদানের আগে শিক্ষকদের এসব বিল আটকে ছিল। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যোগদান করার পর দ্রুত এই বিল পরিশোধ করার উদ্যোগ নেন।’