আন্দোলনে যাচ্ছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাক্সেস এনহ্যান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের শিক্ষকরা। গত ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। গত ৬ মাস তারা বিনা বেতনে পাঠদান করে যাচ্ছেন। বেতন না পেয়ে প্রায় ৬ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব শিক্ষকদের দাবি, এসিটিদের প্রকল্প শেষে পরবর্তী প্রকল্পে অথবা এমপিওভুক্তির মাধ্যমে স্থায়ীকরণের কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে তারা মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে সেকায়েপ প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার চারশ ৮০ কোটি টাকা। দুর্গম ৬৪টি উপজেলার দুই হাজার ১১টি স্কুলে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়।
বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন জানান, শিক্ষকরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১০ লাখ শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে গত ৬ মাস বিনা বেতনে নিজ খরচে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এসব শিক্ষার্থীর ঝরেপড়া রোধ করতে এসে এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী ঝরে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি। প্রকল্প প্রধান ও মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ক্লাস চালিয়ে যান, ভালো খবর আসবে। কিন্তু বিগত ৬ মাসেও ভাল খবর আসেনি। অনেক শিক্ষকের পরিবারের সদস্য অসুস্থ। টাকার অভাবে তাদের সামান্যতম চিকিৎসা দিতে পারছে না।
মামুন হোসেন বলেন, ম্যানুয়াল বইয়ে উল্লেখ আছে সকল এসিটিদের প্রকল্প শেষে পরবর্তী প্রকল্পে অথবা এমপিওভুক্তির মাধ্যমে স্থায়ীকরণ করা হবে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা উল্লেখ ছিল। যার প্রতিফলন সেকায়েপ এসিটিদের ক্ষেত্রে এখনো ঘটেনি। আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বয়স ও অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে ৫২০০ এসিটি শিক্ষক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকার জন্য এমপিওভুক্তি করার ব্যবস্থা নিবেন। এ বিষয়ে অবিলম্বে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা না হলে আগামী সপ্তাহে আমরা মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।