কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রান্তি বিনোদনের টাকা দেয়ার কথা বলে শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আবু ছালেহ সরকার ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেয়ার কথা বলে ৩০০টাকা করে নিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষকদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, টাইমস্কেল, বদলি, জিপি ফান্ডের লোন অনুমোদনসহ অন্যান্য কাজেও শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়।
যদিও টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তার দাবি, তিনি নন, হিসাবরক্ষণ অফিসের বিল পাস করতে কর্মচারীরা টাকা নিলেও নিতে পারেন।
জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট চিলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে যোগদান করেন আবু ছালেহ সরকার। যোগদান করার পর থেকেই তিনি সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেনের যোগসাজসে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
শিক্ষকরা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন গত ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে চিলমারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এক জন অফিসার একই উপজেলায় ৩ বছর কর্মরত থাকার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বদলি হচ্ছেন না। একই উপজেলায় দীর্ঘদিন থাকায় তিনি শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদনের টাকা দেয়ার কথা বলে গত জুন মাসে ১০৫ জন শিক্ষকের নিকট থেকে জন প্রতি ৩০০ টাকা করে আদায় করেছেন শিক্ষা অফিসার আবু ছালেহ সরকার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার ও মো. সাখাওয়াত হোসেন। অথচ এখন পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রান্তি বিনোদনের টাকা পাননি।
অপর একজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট, টাইমস্কেল, বদলি, জিপি ফান্ডের লোন নিতে গেলেও সুপারিশ নিতে উৎকোচ দিতে হয়। ইতোপূর্বে সহকারী শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন শিক্ষকদেরকে কারণে অকারণে শোকজ করে হয়রানি করতেন ও নানা অজুহাতে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার আবু ছালেহ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমি শ্রান্তি বিনোদনের টাকা দিতে চেয়ে কোন শিক্ষকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করিনি। তবে হিসাব রক্ষণ অফিসে যেকোন বিল পাস করতে টাকা লাগে। অফিস সহকারী হয়তো ১০০-২০০ টাকা নিতেও পারে।