সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতার ঘাটতির তথ্য চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শ্রান্তি বিনোদন ভাতার বকেয়ার সাল উল্লেখ করে শিক্ষক সংখ্যা ও ঘাটতির পরিমান নিরূপণ করে আজ ১০ জুনের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হাসান সারওয়ার স্বাক্ষরিত চিঠিতে গত পাঁচ বছরে শ্রান্তি বিনোদন প্রাপ্ত ও বকেয়া থাকা শিক্ষকদের নাম, টাকার পরিমান, ইতোমধ্যে প্রাপ্ত টাকার পরিমান উল্লেখ করে ১০ জুনের মধ্যে অধিদপ্তরে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
তিন বছর পর পর প্রাথমিক শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।অধিদপ্তর মনে করে, সঠিকভাবে চাহিদা না পাঠানো এবং বরাদ্দ ঘাটতিজনিত কারণে শিক্ষকদের শান্তি বিনোদন ভাতা পেতে ৪-৫ বছর লেগে যায়। তাই শান্তি বিনোদন ভাতার চাহিদা সঠিকভাবে নিরূপণ করে ১২ মে'র মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছিল মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
জানা গেছে, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতি তিন বছর পরপর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাওয়ার কথা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভ্যাকেশনাল কর্মচারী হওয়ায় প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য চাকরিজীবীদের মতো বছরের যে কোনো সময় এ ছুটি ভোগ করতে পারেন না। নন ভ্যাকেশনাল কর্মচারী না হওয়ায় ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় রমজানের ছুটি পর্যন্ত। ফলে দেখা যায়, ৩ বছর পূর্ণ হলেও অনেক সময় রমজানের ছুটি না থাকায় এক বছরের ছুটি পরবর্তী বছরে গিয়ে মঞ্জুর হয়। এক্ষেত্রে ৩ বছর পর যে ছুটিটা পাওয়ার কথা প্রাথমিক শিক্ষকরা সেটা ৪ বছর পর প্রাপ্য হয়।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষকসহ শিক্ষক সংগঠনগুলো ও সাধারণ শিক্ষকরা তিন বছর পর পর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি তুলেছিলেন।