গত সোমবার শুরু হয়েছে দেশব্যাপী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে শিক্ষকের কারণে পরীক্ষা দেওয়া হলো না গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট কলেজের শিক্ষার্থী নূপুর বালার। রাজপাট কলেজের শিক্ষক মানিক চন্দ্র মজুমদারের স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে মুকসুদপুর উপজেলার বাসুড়িয়া গ্রামের গোবিন্দ বালার মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নূপুর বালার শিক্ষাজীবন ধ্বংসের পথে।
শিক্ষার্থী নূপুর বালা জানায়, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য শিক্ষক মানিক চন্দ্র মজুমদারের কাছে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়ার জন্যও তিনি টাকা নেন। তবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রবেশপত্র দেননি। তার কাছে অনেকবার প্রবেশপত্র চাইলেও তিনি আজ দেবেন, কাল দেবেন বলে সময়ক্ষেপণ করেন। মানিক চন্দ্র ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখন তার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার পথে। কৃষক গোবিন্দ বালা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, 'সকাল-বিকেল কৃষি কাজ করে মেয়েকে কলেজে পড়াইছি। অনেক কষ্ট করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাইছি। এইচএসসি পরীক্ষার পূর্বে কলেজ স্যাররা কোচিং করাইছে, তার টাকা দিছি। শেষ পর্যন্ত শিক্ষক মানিক চন্দ্র মজুমদারের জন্য আমার মেয়ের পরীক্ষা দেওয়া হলো না।'
কাশিয়ানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, এইচএস সি পরীক্ষার্থী নূপুর বালা তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে রাজপাট কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষক মানিক চন্দ্র মজুমদার জানান, সব দোষ ছাত্রী নূপুরের। আর সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।