পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ময়মনসিংহের ‘গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল’-এর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাঁরা বলছেন, দুজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শরীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষকও নেই। ফাঁকা রয়েছে অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কের পদও।
স্কুলের শিক্ষকরা জানান, প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর হয়ে এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। তবে কবে নাগাদ অনুমোদন মিলবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই স্কুলে দুই শিফটে (পালা) পাঠদান শুরু হয়। সকালে মেয়েরা; দুপুরের শিফটে ছেলেরা। দুই শিফট মিলিয়ে শিক্ষার্থী প্রায় দুই হাজার। সকালে ‘প্রভাতী’ শিফট চলে ‘ডেপুটেশনে’ আসা শিক্ষকদের দিয়ে। এমন শিক্ষক আছেন ১৯ জন। সম্প্র্রতি চারজন নিজেদের কর্মস্থলে চলে গেছেন। দুজন আছেন এমএড প্রশিক্ষণে। এর বাইরে দুই-একজন ছুটিতে থাকলে সকালের শিফটের পাঠদান ব্যাহত হয়।
শিক্ষকরা জানান, যে অবস্থা তাতে স্কুলের সুনাম ধরে রাখা কঠিন হবে। ভৌতবিজ্ঞান এবং বাংলা বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় আগামী জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এর প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ক না থাকায় দাপ্তরিক কাজও ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ডেপুটেশনে আসা শিক্ষকরা যদি ধাপে ধাপে তাদের পুরনো প্রতিষ্ঠানে ফিরে যান তাহলে সবার শিফটে ক্লাস চালু রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপপরিচালক আবু নূর মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।