পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাটুয়া আল আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুব আলম বাবুল মৃধার ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং এর সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের ওপর হামলার সাথে জড়িত সকল সন্ত্রাসীর অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
জানা গেছে, চম্পাপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের মানুষের মাছ ধরার একমাত্র খালটি দখল করে কবির মৃধা ও আউয়াল মীর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে এক হাজার পরিবারকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করে আসছে। এসব ঘটনায় শিক্ষক বাবুল মৃধার নেতৃত্বে এলাকার মানুষ কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।
যার প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ খালটির দখল ছেড়ে দিতে কবির মৃধা গংদের আল্টিমেটাম দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দুপুরে কলাপাড়া পৌর শহরে প্রধানন্ত্রীর জন্মদিনের র্যালিতে অবস্থানকালে বাবুল মৃধাকে মারধর করে কবির মৃধা ও তার সহযোগীরা। তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক বাবুল মৃধা কলাপাড়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
পাটুয়া আল আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক বাবুল মৃধার ওপর হামলার ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে দুপুরে ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে অভিভাবক, এলাকাবাসী ও পাশ্ববর্তী পাটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।
এলাকার কৃষক আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, গত উপজেলা নির্বাচনে তাঁরা নৌকায় ভোট দেয়ায় কবির মৃধা ও আউয়াল মীর বাহিনী মারধর করেছে। এদের কাছে মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। শুকনো মৌসুমে তরমুজ বহনকারী যানবাহন থেকে এরা চাঁদা তোলে। কলাপাড়ার একটি প্রভাবশালী মহলের শেল্টারে এরা এলাকায় জুয়ার আসর বসায়। বর্তমানে এ ঘটনায় মাছুয়াখালী চম্পাপুরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষক বাবুল মৃধার এজাহারের কপি পেয়েছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।