বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পঞ্চকরণ গ্রামে একটি প্রভাবশালী মহল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইদুর রহমানের পরিবারকে হুমকি ও তাদের জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের ছেলে শহিদুল আলম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আকসার আলী মীরের ছেলে জাহাঙ্গীর মীর, বাবুল মীর ও নূরুল ইসলাম শিকদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, পঞ্চকরণ গ্রামের মাস্টার সাইদুর রহমান ৯নং চক পঞ্চকরণ মৌজায় সাড়ে ৯ বিঘা জমি পৈত্রিক ও কবলা সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছেন। সম্প্রতি ওই জমির ওপর দৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর মীরসহ প্রভাবশালী একটি চক্রের। চক্রটি গত ২২ আগস্ট শিক্ষক সাইদুর রহমানের ছেলে তকবীর হোসেন তাদের জমিতে গেলে তার ওপর চড়াও হয়। জমিতে গেলে তাদের হাত পা ভেঙ্গে দেয়াসহ দুনিয়া থেকে বিদায় করার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ওই জমি দখলে নেয়ার ঘোষণা দেয়। প্রতিবছর জমি চাষাবাদের সময় এলেই জাহাঙ্গীর মীর ও তার সহযোগীরা এমন অশান্তির সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলী মীর তার জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (অবদা) কাছে বিক্রি করে দেয়ার পরে তারা মাস্টার সাইদুর রহমানের জমির জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে এই চক্রটির বিরুদ্ধে ওয়াবদার জমি বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলী মীর ব্যবসায়ী কেরামত আলী খানের কাছে থেকে এক মাস পূর্বে নিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। বাবুল খানের কাছে থেকে ১৮ হাজার, যুবলীগ নেতা শাহজালাল শেখকে ওয়াবদার জমিতে পজিশন দেয়ার কথা বলে নিয়েছে ১৫ হাজার, ওয়াবদার জমিতে পজিশন দেয়ার কথা বলে মো. আলী আকবর শেখর কাছে থেকে নিয়েছে ৮ হাজার টাকা।
এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার জানান, তার ইউনিয়নে স্লুইজগেট সংলগ্ন এলাকায় সরকারি জমি পজিশন বিক্রি করার বিষয়টি স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। জাহাঙ্গীর মীর কর্তৃক টাকা আদায় বিষয়টি সঠিক।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর মীর জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ সঠিক নয়। একশ বছর ধরে তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভোগ দখল করে আসছেন।