দাবিকৃত ৪০০ টাকা না দেয়ায় কৃষি শিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা সময়মতো দিতে দেয়া হয়নি ১৮ দাখিল পরীক্ষার্থীকে। পরে ওই শিক্ষার্থীরা ধারদেনা করে টাকা দিলে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর দুই ঘণ্টার ওই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে মাত্র ১৫ মিনিট।
গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে। এ জন্য ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার তাদের কৃষি শিক্ষা (ব্যবহারিক ও নির্দেশিকা) বিষয়ে পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তারা ১৮ পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে এলেও তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে নিষেধ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় তিনি প্রবেশপত্র বাবদ তাদের কাছে ৪০০ টাকা করে দাবি করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ : ব্যবহারিকে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিলেন শিক্ষকরা
টাকা না দিলে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না এবং ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন ওই শিক্ষক। তারা তাৎক্ষণিক ওই টাকা দিতে না পারায় তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে তারা বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে টাকা দিলে নির্ধারিত সময়ের পরে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ১৫ মিনিটে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
এক পরীক্ষার্থী জানান, তারা পরীক্ষার আগে ফরম পূরণ বাবদ দুই হাজার, ব্যবহারিক বাবদ ২০০ ও পরে পরীক্ষা চলার সমেয় ১৫০ টাকা করে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আরও ৪০০ টাকা দাবি করেন ওই শিক্ষক।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী এ কাজ করেছি’।
এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জামিরুল ইসলাম প্রথমে বলেন, ‘ওই পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা বাকি ছিল। পরে তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, ‘প্রবেশপত্র বাবদ টাকা নেয়ার কথা নয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।