সিরাজদিখানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক মাদরাসা শিক্ষকের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র রিফাত ১০ দিন যাবত রাজধানীর চক্ষু হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। চিকিৎসক বলেছেন বেতের আঘাতে রিফাতের চোখের পর্দা ফেটে গেছে। এদিকে এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের নামে যেন থানায় কোন অভিযোগ দেয়া না হয় সেজন্য মাদরাসা শিক্ষকের পক্ষ থেকে উল্টো হুমকি দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার কোলা হাতরপাড়া গ্রামের প্রবাসী মনির হোসেনের ছেলে মোঃ অহিদুল ইসলাম রিফাত হাতরপাড়া আবু বীন আবি তালিব (রাঃ) মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। মে মাসের ৯ তারিখ সকাল ৯টার সময় শিক্ষক মোঃ হাফিজুল হাসান ক্লাস চলাকালে সাধারণ একটি ভুলের ঘটনায় বেত দিয়ে রিফাতকে পেটাতে থাকে।
পিটুনির এক পর্যায়ে রিফাতের চোখ দিয়ে প্রচন্ড রক্তপাত ঘটলে মাদরাসার অন্য শিক্ষকরা তাকে শ্রীনগর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে রিফাতের মা ও তার দূর সম্পর্কের চাচার সহযোগিতায় তাকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট আগারগাঁওয়ে নিয়ে যায়। এখন রিফাত সে হাসপাতালের বেড নং- বি-৩, ওর্য়াড নং -৫০২ এ ভর্তি আছে। চিকিৎসকরা বলছেন আঘাত খুব বেশি। চোখ ভাল নেই।
রিফাতের মা জানান, রিফাতের বাবা ও চাচা বিদেশে থাকে। এছাড়া ক্রমাগত হুমকি-ধমকি পাচ্ছি। তাই মামলা করতে সাহস পাচ্ছি না। কয়েক মাস আগেও রিফাতকে অন্য এক শিক্ষক বেত দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করেছে, যার চিহ্ন এখনও রিফাতের গায়ে আছে।