নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দোসতি দাখিল মাদরাসায় দুই শিক্ষকের বেদম প্রহারে জয়নাল আবেদীন (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত জয়নাল আবেদীন উপজেলার বৈলশিং পানাতাপাড়া গ্রামের জামিদুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
এই ঘটনায় দোসতি দাখিল মাদরাসার সুপার বিন ইয়ামিনকে শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক পলাতক রয়েছে।
নিহত জয়নাল আবেদিনের বাবা জামিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মাদরাসার ক্লাস চলাকালে শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন ও ফয়সাল হোসেনকে আম গাছের ডাল দিয়ে বেদম মারপিট করে। এ সময় জয়নাল আবেদীন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি একটি ভ্যানে করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে জয়নাল আবেদীনের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে মঙ্গলবার রাতেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যায় জয়নাল আবেদিন।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুর আলম বলেন, দোসতি মাদরাসার শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া পর বাবা-মাসহ স্বজনরা ময়না তদন্ত না করেই গোপনে লাশ সেদিন রাতেই বাড়ি নিয়ে এসে গোপনে দাফনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নিহত জয়নাল আবেদীনের লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বাবা জামিদুল ইসলাম সরদার বাদি হয়ে মাদরাসা সুপার বিন ইয়ামিন, শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মাদরাসা সুপার বিন ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।