ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নে অবস্থিত রাম লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
একাধিক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নিলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। তবে তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাহারুপ শেখ অর্থ নেয়ার বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তপন কুমার বিশ্বাস বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের গণিত বিষয়ে নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতেন। নির্বাচনী ও এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের প্রলোভনে পড়ে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের আশায় সাহারুপ শেখ এক লাখ ৫ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেয়। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পর সাহারুপ দেখতে পায় সে ফেল করেছে। এরপর সাহারুপ শিক্ষক তপনের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি ঘোরাতে থাকেন এবং বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। কোনো উপায় না পেয়ে অবশেষে শিক্ষার্থী সাহারুপ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবর তপন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহসিন আলী বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে সভায় বসব। তপন বিশ্বাস দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ মণ্ডল বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর বক্তব্য আমরা শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ আমাকে যে শাস্তি দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।
মধুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ওই শিক্ষার্থী সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে, তাই আমার কিছু বলার নেই। তবে শিক্ষক দোষী হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।