তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম পাটুলী গ্রামে। শিশুটিকে প্রহার করা শিক্ষক উপজেলার বেতবাড়ি থানার পার উচ্চ বিদ্যালয়ের, নাম রফিকুল ইসলাম এবং আহত শিশু আছিম পাটুলি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. লামিম।
পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় কারণে শিশুটির চিৎকার শুনে প্রথমে তার মা এবং পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিকেলে ভর্তি করা হয়। শিশুটির হাত, পা, বুক ও পিঠে পেটানোর চিহ্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিধান চন্দ্র দেবনাথ। তিনি বলেন, 'শিশুটিকে আহত অবস্থায় গতকাল বিকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পেটানোর ক্ষত এবং বুকে, পিঠে, গলায় নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
লামিম বলে, 'আমি কাল মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিলাম। এমন সময় রফিক স্যারকে একজনের কাছ থেকে বড়ি (ট্যাবলেট) কিনতে দেখি। তখন তাকে বলেছিলাম আমি সবাইকে বলে দেব। তিনি এ কথা শুনে প্রথমে আমার ওপর খেপে যান, পরে আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরেন এবং রড দিয়ে পেটাতে থাকেন।' লামিমের বাবা জালাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, আমার পরিবারের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। কোন অপরাধে রফিক মাস্টার আমার ছেলেকে মারল! আমি এর বিচার চাই।
শিশুটিকে নির্যাতনের বিষয়ে রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।