ফেনীর দাগনভূঞা আতাতুর্ক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে বেত্রাঘাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। শনিবার (২০ জুলাই) দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই ছাত্রের নাম ইসতিয়াক আহম্মেদ অয়ন।
ইউএনও মো.সাইফুল ইসলাম ভূঞা বলেন, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন বেত ব্যবহার না করা হয়, সেজন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি।
অয়নের বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, ১৮ জুলাই সকালে অয়ন বিদ্যালয়ে যায়। শার্ট ইন না করায় তাকে প্রধান শিক্ষক মো. মোবারক হোসেনের কক্ষে ডাকা হয়। সেখানে তাকে বেত্রাঘাত করা হয়। পরে অয়ন বমি করে। অয়নের শ্রেণিশিক্ষক ভাস্কর তাকে বাসায় পৌঁছে দেন। এরপর সে বাসায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে তাকে দাগনভূঞা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন কতর্ব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তির পরামর্শ দেন। অয়নকে ভর্তি না করিয়ে তার বাবা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে আসেন। পরের দিন শুক্রবার (১৯ জুলাই) অয়নের অবস্থার অবনতি দেখে হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়।
দাগনভূঞা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. সাইফুল বলেন, অয়ন জ্বর ও বমি নিয়ে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন বলেন, ১৮ জুলাই বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম গায়ে না দিয়ে আসায় আমি ১৫-২০ জন ছাত্রকে হাল্কাভাবে বেত্রাঘাত করেছি। এতে কেউ এমন গুরুতর আহত হয়নি। এখন শুনতেছি ইসতিয়াক আহম্মেদ অয়ন নামের একজন অসুস্থ হয়েছে। অয়ন ওই দিন ছয় ঘণ্টা ক্লাস করেছিল। কিন্তু, এরপর কীভাবে অজ্ঞান হলো, তা তিনি জানেন না।