১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তঃসরকার সন্মেলনে ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক সুপারিশ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ইউনেস্কো ও আইএলও'র যৌথ উদ্যোগে প্রণীত এই সুপারিশে শিক্ষার উদ্দেশ্য ও নীতিমালা, শিক্ষকদের পেশাগত প্রস্তুতির বিধান এবং শিক্ষকদের অধিকার ও দায়িত্বের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে। পৃথিবীর সবদেশের শিক্ষকদের জন্য এই সুপারিশ একটি মৌলিক সনদ। এজন্য প্রতিবছর ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিক্ষক সমাজের অধিকার সুরক্ষা ও দায়িত্বপালনের প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়।
আরও দেখুন: বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন শুরু হলো যেভাবে (ভিডিও)
আমরা ছাত্রজীবন ও শিক্ষকতা জীবনে যে কয়জন শিক্ষামন্ত্রী পেয়েছি তারমধ্যে নিঃসন্দেহে ডা. দীপু মনি অন্যতম। তিনি যেমন লেখাপড়ায় এবং ডিগ্রিতে অন্যদের থেকে সেরা, তেমনি আদর্শিক দিক থেকে ব্যতিক্রম। তিনি পারিবারিকভাবে শিক্ষক পরিবারের সন্তান। তাঁর মা একজন সফল শিক্ষক এবং বাবা বাংলাদেশের রাজনৈতির উজ্জ্বল নক্ষত্র ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ। অসীম ধৈর্য, শুদ্ধভাবে সাবলীলভাবে গঠনমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মতো নেতা-কর্মীকে আকৃষ্ট ও ম্যানেজ করার এক যাদুকরী মন্ত্রে তিনি উজ্জীবিত। প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী হয়েই প্রশ্নফাঁস রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনেক বড় একটি মন্ত্রণালয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের ‘ডা. দীপু মনি’ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত কল্পে ননএমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত, বেসরকারি শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, সম্মানজনক বাড়ি ভাড়া, উচ্চতর স্কেল প্রদান করে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ এবং সরকারি শিক্ষকদের দাবি পূরণ করতে সক্ষম হবেন। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবেন, উপনীত করবেন। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষামন্ত্রীর সফলতা কামনা করছি।
দেশের সব শিক্ষকের প্রতি শুভেচ্ছা।
মোহাম্মদ হোসেন : অধ্যক্ষ, কামরাঙা স্কুল অ্যান্ড কলেজ।