মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিকদের এমপিওভুক্তিতে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে প্রধান ভূমিকা পালনকারী শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রতি কৃতজ্ঞতার পুন:প্রকাশ করে আমার লেখাটি শুরু করছি। নানা মাধ্যমে পাওয়া তথ্যমতে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিকরা বিভিন্নভাবে অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। তাঁরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাওয়ার পরেও স্কুলে নানাভাবে অবহেলিত। সহকারী গ্রন্থাগারিকরা মাউশি অধিদপ্তরের নির্দেশনায় লাইব্রেরি ক্লাস নিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক শ্রেণিকক্ষেও পাঠদান করে চলছেন।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের কর্মচারী অর্থাৎ নন-টিচিং স্টাফ থেকে বাদ দিয়েছে সরকার। কিন্তু তাদের অবস্থান কোন ক্যাটাগরিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে প্রতিদিনই তাঁরা নানাভাবে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা সহকারী গ্রন্থাগারিকদের অফিস সহকারীর সমান মনে করেন। কর্মচারীদের সাথে বসতে দেন। খাতায় সই করতে দেন। কিন্তু সহকারী গ্রন্থাগারিকদের নিয়োগকালীন যোগ্যতা স্নাতক ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা, যা একজন সহকারী শিক্ষকের সমমান।
আমার জানামতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহকারী গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারিকরা শিক্ষকের মর্যাদা পান।
সহকারী গ্রন্থাগারিকরা শিক্ষকের মর্যাদা পেলে তাদের মান বাড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তাঁরা বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অধিদপ্তর ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেও সহকারী গ্রন্থাগারিক সমিতির নেতারা ও বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির নেতারা একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন।
কিছুদিন পূর্বে শিক্ষকের মর্যাদা চেয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিকরা হাইকোর্টে রিট করেছেন। সহকারী গ্রন্থাগারিকদের কেন শিক্ষক মর্যাদা দেয়া হবে না এই মর্মে হাইকোর্ট রুলও জারি করেছেন। হাজার হাজার সহকারী গ্রন্থাগারিক আদালতের দিকে চেয়ে রয়েছেন।
লেখক : সহকারী গ্রন্থাগারিক, পঞ্চগড়।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]