বছরখানেক চুপচাপ থাকার পর ফের প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের কয়েকটি ধারার বিরোধীতা শুরু করেছেন পুস্তক প্রকাশকরা। শিক্ষা আইনে নোট-গাইড নিষিদ্ধ হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন সৃজনশীল অনুশীলনমূলক সহায়ক বই প্রকাশ ও বিক্রয় পরিপন্থী মর্মে আলোচনা হয়। এমন অভিমত জানিয়ে প্রস্তাবিত আইন সংশোধনের দাবি করেন তারা। কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেন তারা।
একাধিক সূত্রমতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ও তার সচিব পযায়ের একজন ভাইকে ম্যানেজ করেছিলেন পুস্তক প্রকাশরা। তারা প্রভাবশালী একটি অফিসের প্রভাবশালী একজনকেও ম্যানেজ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তার মৃত্যু হওয়ায় হিসেব -নিকেষ উল্টে যায়।
বছরখানেক চুপচাপ থাকার পর গতকাল ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। উদ্বোধন করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)। বাপুসের সভাপতি মো. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সমিতির সহসভাপতি মো. সালাহউদ্দিন, সাবেক সহসভাপতি শ্যামল পাল, পাঞ্জেরী প্রকাশনীর কামরুল হাসান শায়খ, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমিতির সহসভাপতি শরীফুল আলম ও সাবেক পরিচালক নেসার উদ্দিন আইয়ুব। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ মুদ্রক ও বিপণন সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই মালিক সমিতি, কালি শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
আলোচকরা বলেন, ‘শিক্ষিত ও সৃজনশীল জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব রয়েছে। তাই শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক রেফারেন্স বইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
বাপুসের সাথে অনেক শিল্প জড়িত। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে যে ধারা-উপধারা আছে তা আইনে পরিণত হলে দেশের ২৮ হাজার বইয়ের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। ২৫ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। সহায়ক বই বন্ধ হলে ছাত্র-ছাত্রীরা কোচিং ও প্রাইভেট টিউটরের ওপর নির্ভরশীল হবে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। ’
প্রধান অতিথি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঢাকাবাসীর স্বার্থে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে সিটি করপোরেশন। স্ট্রিট লাইট সচল রয়েছে। ০৯৬১১০০০৯৯৯ নম্বরে কল করলে ডিএসসিসির ডাক্তার বাসায় গিয়ে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেন। আমরা দল-মত-নির্বিশেষ সবার জন্য শহরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ’