শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রামের সদর আসন খ্যাত চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে তরুণ নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছাতেই ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মত দেশের সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠনের নীতি নির্ধারনী কেন্দ্রীয় পর্ষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে টানা সাড়ে ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন তারা বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরী।
নতুন শিক্ষা উপমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক ও এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান খান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ৩য় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো: খুররম মোল্লা ও মহাসচিব মো: জাকির হোসেন মল্লিক, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও মহাসচিব মো: জাকির হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো: বদিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক কাবুল হোসেন মোল্ল্যা।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আসীন থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর জৈষ্ঠ পুত্র ব্যারিস্টার নওফেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার নওফেল। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাবার পক্ষে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি। পিতা এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নির্বাচনে অদৃশ্য শক্তি হিসাবে কাজ করে দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সুনজর অর্জন করেছিলেন ব্যারিষ্টার নওফেল। নির্বাচনী প্রচারনায় জনসম্পৃক্ত হওয়ার ব্যাপারে অধিক জোর দিয়ে বিএনপি শাসনামলে ঐতিহাসিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে চসিক পরিচালনায় পিতা মহিউদ্দীনের পেছনে শক্তি যুগাতেন তিনি। জনগনের মন জয়ের উদ্দেশ্য চসিককে জনবান্ধব ও জনকল্যাকর কাজের ধারনা দিয়ে নিরবে নিভৃতে কাজ করে গিয়েছিলেন এই তরুন আওয়ামী লীগ নেতা।
আর এই বিষয়গুলো ‘সেসময় থেকে দলীয় সভানেত্রীর নজরে ছিল যা বর্তমানে মহিবুল হাসান নওফেলের সাংগঠনিক পদে মূল্যায়নের নেপথ্যে কাজ করেছে’ বলে মনে করেন অনেকে। পরবর্তীতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে পারষ্পরিক সুসম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে পেশীশক্তির রাজনীতিতে চরম অনিহা থাকা তরুন এই নেতার বিভিন্ন গুনাবলী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। এরমধ্যে বিগত চসিক নির্বাচনে পিতা মহিউদ্দীন চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় নেতা কর্মীদের চরম অসন্তোষের ঘটনায় দলীয় হাইকমান্ড বিব্রত হলে ডাক পড়ে ব্যারিষ্টার নওফেলের।
দলীয় অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে চট্টগ্রামে এসে নিজের বাবার রাজনৈতিক বলয়ের নেতা কর্মী সহচরদের অভিমান ভাঙিয়ে নির্বাচনমুখী করার কাজেও সফলতা পেয়েছিলেন তিনি।