অবসান হতে পারে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা' ক্যাডারের ১৪ ব্যাচের বঞ্চনা। শিগগিরই অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে জুলাই মাসে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রমতে এবার দেড় হাজারেরও বেশি কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে।
জানা যায়, এবার সাড়ে ৩০০ অধ্যাপক, ২৭৫ সহযোগী অধ্যাপক এবং এক হাজার ১০০ সহকারী অধ্যাপক পদ শূন্য রয়েছে। তবে রিজার্ভ পদসহ (প্রশাসনিক পদ) পদোন্নতি কমিটির সভায় নানা কারণে পদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। শিগগিরই বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) সভা করে এসব পদের পদোন্নতি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে পদোন্নতি দেওয়া হবে অধ্যাপক পদে। চলতি সপ্তাহে ডিপিসি সভা হতে পারে। তিনটি স্তরে এবার সবচেয়ে বেশি পদোন্নতি পাবেন বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ের শিক্ষকরা। অন্যদিকে পদ কম থাকার কারণে প্রাণিবিদ্যা, সংস্কৃৃত, ইসলামের ইতিহাস, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ের শিক্ষকরা কম পদোন্নতি পাবেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। পদোন্নতি নিয়মিত প্রক্রিয়া হলেও প্রায় দু'বছর ধরে কোনো পদোন্নতি হয়নি এই ক্যাডারে।
অধ্যাপক পদের জন্য এবার বিবেচিত হচ্ছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ১৪ ও ১৫তম ব্যাচ। ১৪তম ব্যাচের একটি অংশ দুই বছর আগেই অধ্যাপক হয়েছেন। বাকিদের সবাই এবার বিবেচনায় আছেন। ১৪তম ব্যাচের ৫৮০ জন অধ্যাপক পদের জন্য ফিটলিস্টে আছেন। আর ১৫তম ব্যাচের রয়েছেন ৪০ জন।
সহযোগী অধ্যাপক পদের জন্য এবার বিসিএসের ২২তম ব্যাচ মূল বিবেচনায় রয়েছে। তবে ২৪তম ব্যাচেরও কিছু কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক হবেন। তবে এই পদের ফিটলিস্ট এখনও প্রস্তুত করেনি মাউশি অধিদপ্তর।
আর সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য এবার বিবেচনায় রয়েছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। এই পদের পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের খসড়া তালিকা গত সপ্তাহে প্রকাশ করেছে মাউশি অধিদপ্তর। খসড়া তালিকায় দুই হাজার ৫০৮ জন প্রভাষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১০০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে। এই কর্মকর্তারা আট থেকে ১০ বছর পর্যন্ত প্রভাষক পদে চাকরি করে যাচ্ছেন। খসড়া তালিকায় যাচাই-বাছাই শেষে এ মাসের মধ্যে ডিপিসির মাধ্যমে পদোন্নতির চূড়ান্ত তালিকা করা হবে বলে জানা গেছে।