আসছে অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে টাকার অঙ্কে বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে তা শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ১ শতাংশ।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ৭৯ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়, যা ছিল মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।
তবে বিদায়ী অর্থবছরের বাজেট সংশোধনে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ৭৭ হাজার ৩৮ কোটিতে নেমে এসেছে। সংশোধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশের সমান।
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট টাকার অঙ্কে বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭.৯ শতাংশের সমান। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
সেই হিসেবে আসছে অর্থ বছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ জিডিপির ২.৭০ শতাংশের সমান; বিদায়ী অর্থবছরে যা ছিল ২.৭৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের শিক্ষা খাত জিডিপির ৬ শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ পেলে তা আদর্শ ধরা হয়।