শিক্ষা খাতে সর্বত্রই শুধু গলদ! - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা খাতে সর্বত্রই শুধু গলদ!

বিনয় মিত্র |

১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছিল গোটা ফ্রান্স। দুর্বল ও পরিকল্পনাহীন পাঠ্যক্রম, পাঠ্য বিষয়বস্তুর নিষ্প্রাণতা, শিক্ষা-সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের বেপরোয়া স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে সেখানকার সাধারণ ছাত্ররা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। দেশের প্রগতিশীল সব নাগরিক, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, পেশাজীবী সম্প্রদায় সে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল। সেই আন্দোলনের প্রভাব ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ অন্তত ৫০টি দেশে। ওই সময় ইউনেস্কো কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ফিলিপ এইচ কুমস প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ফাঁক ও ফাঁকি, অপূর্ণতা এবং অসঙ্গতি সম্পর্কে যে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন, এর অংশবিশেষ ছিল এ রকম, "শিক্ষা ব্যবস্থাপকরা তাদের দেশের পরিবর্তিত নতুন পরিস্থিতিতেও সেই পুরনো ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাকে ক্রমাগত বাড়িয়ে যাওয়ার কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন।

যখন শিক্ষার দায়দায়িত্বের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তখন সহজ-সরলভাবে 'একই জিনিসের আরও সংখ্যা বৃদ্ধি' কখনোই সমাধানসূত্র হতে পারে না। বরং যা দরকার তা হলো, আরও বেশি সংখ্যার এবং আরও বৈচিত্র্যময় শিক্ষার্থী গোষ্ঠীর চাহিদার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে নবতর কর্মপ্রচেষ্টা গ্রহণ করা।" রিপোর্টের উপসংহারে এসে 'প্রথাবিমুক্ত শিক্ষা'র (নন-ফরমাল এডুকেশন) প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে কুমস বলেছেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নয়নশীল দেশগুলো দু'দিক থেকে বিপদগ্রস্ত হয়েছে।

যে শিক্ষাব্যবস্থা তারা চালু রেখেছে, তা অন্য কোনো উন্নত দেশ থেকে আমদানিকৃত এবং যা ভিন্নতর উদ্দেশ্য ও পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে গৃহীত। ফলে ভিন্ন আদলের ভিন্ন শিক্ষারীতি, যা অনেক উন্নয়নশীল দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তা অনুসরণ করে অনেক দেশই প্রত্যাশিত ফল অর্জন করতে পারছে না। বস্তুত বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে কুমসের এই বক্তব্য শতভাগ প্রযোজ্য প্রায়। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নবতর এবং অভিনব একটা অধ্যায়ের নাম 'প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা'। কিন্ডারগার্টেন (কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল), মাদ্রাসা ও নতুন করে সংযোজিত 'ধর্মীয় উপাসনালয়কেন্দ্রিক শিক্ষালয়'-এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। তবে এ পর্যায়ের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় মাধ্যমের নাম 'কিন্ডারগার্টেন'। কারবারদক্ষ বাঙালি যেখানে-সেখানে, শহরে, হাটে-বাজারে, গ্রামের নিভৃত কোণেও 'কিন্ডারগার্টেন' নামক দোকান খুলে বসছে।

এক. জার্মান দার্শনিক ফ্রেডারিক ফ্রোয়েবল তাঁর সৃষ্টিশীল চিন্তাসূত্র, জীবন-ঘনিষ্ঠ ভাবনা এবং নতুন ঘরানার 'শিশুশিক্ষানিকেতন' প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী পূজ্য ও মান্যজন হিসেবে বিবেচিত হলেও বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর কাছে তিনি ভিন্ন পরিচয় নিয়ে হাজির হয়েছেন। কেননা, তাঁর গড়া কিন্ডারগার্টেন নামক স্কুল, অন্যান্য জাতির শিশুচিত্তকে আলোকিত করলেও তা বাঙালি শিশু-আত্মার চরম সর্বনাশ করে চলেছে; অবশ্য শিশুচিত্তের ওই সর্বনাশ ঘটাবার জন্য ফ্রোয়েবলকে দায়ী করার অবকাশ নেই।

কারণ তিনি যখন 'আনন্দচ্ছলে' শিশুশিক্ষা প্রদানের জন্য কিন্ডারগার্টেন নামক পাঠশালাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন তিনি জানতেন না যে, এই পৃথিবীর বাঙালি নামক জাতিটি 'মুনাফা অর্জনের জন্য সব অলিগলি পথে'র সন্ধান জানে বেশ এবং তারা দুধের সঙ্গে পানি, চালের সঙ্গে কাঁকর, চিনির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে অভিনব ব্যবসায় বেজায় পারদর্শী। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই 'শিশু'কে গণ্য করা হয় 'পবিত্রতার প্রতীক' হিসেবে। তাদের মনোরঞ্জনের জন্য রাখা হয় রকমারি ব্যবস্থা; কিন্তু রঙ্গভরা বঙ্গদেশের নিয়মই যেন আলাদা- এখানে শিশু বলতে কেউ নেই। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই এখানকার সবাই যেন শিক্ষার্থী-ব্যাগভর্তি বই আর প্রাইভেট টিউটরের চাপ বহন করাই যেন তাদের অনিবার্য নিয়তি। কিন্তু কেন? কেন কচি শিশুর কাঁধে বইয়ের ভারী ব্যাগ চাপানো হচ্ছে? 

দুই. এ তো গেল শিশুশিক্ষা-সংশ্নিষ্ট উপাখ্যানের কথা। এবার নজর দেব বড়দের অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরটির দিকে। বস্তুত বঙ্গদেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি দেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিহাসচ্ছলে বলেছিলেন, যেখানে 'বিশ্ব'-এর 'বিদ্যা' 'লয়'প্রাপ্ত হয়, তার নামই 'বিশ্ববিদ্যালয়'। রবীন্দ্রনাথের কালে কোনো কোনো শিক্ষাপীঠে 'বিশ্বের বিদ্যা' 'লয়' পেত, এ তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে বর্তমানকালে বাংলাদেশে 'জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়' নামক প্রতিষ্ঠানটির আওতায় শত শত কলেজের সংকীর্ণ প্রকোষ্ঠে উচ্চশিক্ষা (রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, 'বিশ্ব-বিদ্যা') যে নিয়তই 'লয়'প্রাপ্ত হয়ে চলেছে-এটা জোর দিয়েই বলা যায়। এ রকম অপ্রিয় এবং কঠোর অভিমতের পেছনের যুক্তিগুলো যাচাই করে দেখা যাক।

১, কয়েক বছর আগেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হতো। ওই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন, প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার প্রশ্ন ভিন্ন রকম ছিল। তাই কেবল প্রকৃত মেধাবীরাই ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারত। এরপর ওই ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের একটা সুনির্দিষ্ট হার যোগ করে মেধাক্রম সাজানো হতো। ওই মেধাক্রম অনুসারে যার অবস্থান যত আগে-বিষয় নির্বাচনে (অর্থাৎ কে কোন বিষয়ে পড়বে, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য) সে তত বেশি সুবিধা পেত। এ প্রক্রিয়াতে অনার্স পড়ার জন্য যেমন ভালো একাডেমিক রেজাল্টের প্রয়োজন ছিল, তেমনি ভর্তি পরীক্ষাতেও ভালো নম্বর অর্জন করতে হতো।

বস্তুত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শিশু শ্রেণিতেও পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হয় (সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণি, সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণি, ক্যাডেট কলেজে অষ্টম শ্রেণি প্রভৃতি স্তর)। স্বায়ত্তশাসিত সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে তো বটেই; এমনকি প্রকৌশল-চিকিৎসা-কৃষিবিদ্যায় ডিপ্লোমা করার জন্যও ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে অগ্রসর হতে হয়। এ ক্ষেত্রে শোচনীয় ব্যতিক্রম কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কয়েক বছর ধরে ওই বিশ্ববিদ্যালয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা এর সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকে অনার্স ভর্তির একমাত্র যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করে ভর্তি মেধাক্রম তৈরি করছে। পরীক্ষার খাতায় নম্বর প্রদান করার ক্ষেত্রে সাধারণ ধারার শিক্ষক অপেক্ষা মাদ্রাসা ও কারিগরি ধারার শিক্ষকরা অনেক বেশি উদার এবং মুক্তহস্ত। ফলে একই মানের পরীক্ষা দিয়ে সাধারণ ধারার শিক্ষার্থীরা যে রকম নম্বর পায়, এর চেয়ে অনেক বেশি নম্বর পায় মাদ্রাসা বা কারিগরি ধারার শিক্ষার্থীরা। 

২, বস্তুত অনার্স-পড়ূয়া শিক্ষার্থী-তারা কে, কোন কোন ধারা থেকে আগত, সেটা কখনও পর্যালোচনার বিষয় হতো না; যদি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সাধারণ নিয়ম অনুসরণপূর্বক স্বাভাবিক গতিতে অগ্রসর হতো। বস্তুত ভিন্ন পরিবেশ এবং ভিন্ন মানসিকতায় গড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বাংলায় ভর্তি হওয়ার পর যখন দেখে, তাদের লালিতবোধ ও চেতনা আর বাংলা পাঠ্যসূচির সুর ও লয়ের মধ্যে মিল অপেক্ষা বে-মিলই বেশি এবং এ পাঠ্যসূচির ব্যাপ্তিও বিশাল, তখন ভর্তিকৃতদের অনেকেই হতাশায় নিমজ্জিত হতে থাকে। অন্যদিকে কারিগরি ধারা থেকে আগতরা হিসাববিজ্ঞান-ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ের গভীরতা ও জটিলতা দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। তাই ওই ভর্তিকৃতদের একাংশ প্রতি বছরই ঝরে পড়ে এবং ঝরতে ঝরতে অনার্স শেষ না করেই এদের বৃহদাংশ শিক্ষার পাট চুকিয়ে ফেলে। 

৩, উচ্চশিক্ষা কি কোনো পণ্য যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে-সেখানে গণহারে শিক্ষা বেচার দোকান খুলে বসবে? ইংরেজি যে বিষয়টির অনার্স কোর্স পড়ার জন্য জেলা সদরের সবচেয়ে বড় কলেজটিতেও যথাযথ যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায় না, সে ক্ষেত্রে মফস্বল শহর, এমনকি পাড়াগাঁয়ের মানহীন কলেজেও ইংরেজি বিষয়ে অনার্স খোলার অনুমতি দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চাইছে? কোনো শিক্ষার্থী যেখানে যে বিষয়েই ভর্তি হোক, তাকে পাস করিয়ে দেওয়ার দায়দায়িত্ব বুঝি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছে। তাই দেখি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ভার বড় কলেজের প্রবীণ শিক্ষক অপেক্ষা সরকারি-বেসরকারি কলেজের তরুণ শিক্ষকের কাঁধেই বেশি বেশি অর্পণ করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দু'জন পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করাত এবং তাদের প্রদত্ত নম্বরের গড় করে 'প্রকৃত প্রাপ্ত নম্বর' নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এখন দৃশ্যত এক পরীক্ষকের মাধ্যমেই খাতা মূল্যায়ন করানো হচ্ছে। 

৪, আমাদের দেশে যে কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, এর মধ্যে গুণে ও মানে সর্বনিল্ফেম্ন যেটির অবস্থান, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া কোনো শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সবচেয়ে আলোকিত কলেজটিতেও ভর্তি হতে রাজি হবে না। রঙ্গভরা বঙ্গদেশে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে দেয়। এতে সিংহভাগ শিক্ষার্থীর পরে যদি কোথাও চান্স না হয়, এই ভয়ে প্রথমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে; পরবর্তীকালে অপেক্ষাকৃত ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চান্স পেলে পূর্বের ভর্তি বাতিলপূর্বক নতুন স্থানে নতুন করে ভর্তি হয়। এতে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী দু'বার টাকা গোনে (শিক্ষার্থীকে প্যাঁচে ফেলে প্রথমবার টাকা হাতিয়ে নেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), দু'বার ভর্তি হওয়ার ঝামেলা পোহাতে হয়! বস্তুত বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিমৃশ্যকারী শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে যথাযথ দৃষ্টি দেবে আশা করি। 

 

লেখক ও গবেষক

 

সৌজন্যে: সমকাল

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0079209804534912