চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান শিশিরকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। সোমবার কচুয়া থানায় মামলাটি করেন হামলার শিকার প্রকৌশলী নূর আলম।
এদিকে দ্রুত বিচার না পেলে সারাদেশের শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের প্রকৌশলীরা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য আসামিরা হচ্ছেন কচুয়ার কোয়া গ্রামের হোসেন, রসুলপুর গ্রামের জহির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন।
মামলার এজাহারে প্রকৌশলী নূর আলম বলেন, ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ পায় অনন্ত ট্রেডার্স (জেবি)। এ কাজের তত্ত্বাবধান করে আসছেন ঠিকাদারের লোক আশরাফুল আলম। স্কুলটির দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি চলা অবস্থায় পরিদর্শনে যাই।
তিনি বলেন, ইউএনও দিপায়ন দাস শুভসহ কাজ পরিদর্শনে যাওয়ার পর দুপুরে হঠাৎ প্রধান আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির তার ১৫-২০ জনের একটি দল নিয়ে সেখানে যান। এ সময় তিনি ইউএনওর সামনেই আমাকে এবং তত্ত্বাবধানকারীকে উদ্দেশ্যে করে গালাগাল করেন।
একপর্যায়ে আমার নাক-মুখে এলোপাতাড়ি ঘুসি মারতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে হত্যার উদ্দেশ্যে হুমকি-ধমকি দেন। পরে তারা দড়ি নিয়ে আসে আমাকে বেঁধে রাখার জন্য। এ সময় বাঁশ দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমার ডান পায়ের হাঁটুতে আঘাত করেন। পরে অন্য আসামিরাও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিঠে ও পায়ে আঘাত করেন।
এ অবস্থায় কাজের তত্ত্বাবধানকারী এগিয়ে এলে তাকেও হত্যার হুমকি দিয়ে মারধর করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে ইউএনওর সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। হামলাকারীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেন বলে অভিযোগ করেন প্রকৌশলী নূর। কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।