করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ফ্রান্সে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববারের ভাষণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন। তবে সবাইকে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এরই মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে একাত্মতা জানিয়েছে ফরাসি আন্দোলনকারীরাও।
করোনা সংকটকালীন সময়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ চতুর্থবারের মত জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদান করেছেন। এ সময় তিনি বার, রেস্টুরেন্টসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন। একই সাথে বিমানবন্দরগুলো ও সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা বলেছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কিংবা স্থানীয় ফ্লাইটগুলো নির্ভর করবে অন্যান্য দেশের উপর।
করোনা সংকটের কারণে দ্বিতীয় দফা পৌরসভা নির্বাচন ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ভাষণে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান এবং তার সরকারের অবস্থান সোচ্চার থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্টের এ ভাষণের মধ্যে দিয়ে ফ্রান্সের জনজীবন আবারো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে এমন আশাবাদ দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
ফ্রান্সে বসবাসরত এক বাংলাদেশি বলেন, 'আমাদের বার রেস্টুরেন্টগুলো আগের মত চলবে আশা করি।' আরেক প্রবাসী বলেন, 'বাচ্চাদের স্কুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান করতে হবে।'
ছোটদের স্কুলের পাশাপাশি প্রাইমারি আর হাইস্কুলও খুলে দেয়ার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একইসাথে আগামী ২২ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে এমনটাও বলেছেন তিনি।
এদিকে ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।