সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষে সব স্কুল-কলেজ না খুললে ফেডারেল মঞ্জুরি বন্ধের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ধরনের পরিবেশ তৈরির জন্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরকেও (সিডিসি) স্বাস্থ্যবিধি ঢেলে সাজানোর চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প নিজে এবং তার ঘনিষ্ঠজনরা। যদিও গত ৯ দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অকল্পনীয় হারে বেড়েছে। সর্বশেষ ৮ জুলাই বুধবার আমেরিকায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৯ হাজার জন। ৭ জুলাই মঙ্গলবার পর্যন্ত দু’সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার হচ্ছে ৭২ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে আরিজোনা রাজ্যে। এমনি কঠিন একটি বাস্তবতাকে আমলে না নিয়ে ট্রাম্প সবকিছু খুলে দিতে চাপ দিচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসের নেতৃত্বে গঠিত ‘করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স’র মতামত উপেক্ষা করে মে মাসেও ট্রাম্প বেশ কয়েকটি রাজ্যের লকডাউন উঠিয়ে নেয়ায় চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তার সমর্থনপুষ্টরা বাস্তবতা উপেক্ষা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করেছিলেন, যার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে টেক্সাস, ফ্লোরিডা, আরিজোনাসহ ৩৭টি রাজ্যকে। এখন স্কুল-কলেজ পুরোপুরি খোলার জন্যে চাপ অব্যাহত রেখেছেন ট্রাম্প। ৭ জুলাই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক ছাড়াও নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হয়েছেন এ একটি ইস্যুতে। যে কোনো উপায়ে সেপ্টেম্বরে স্কুল-কলেজসহ ব্যবসা-অফিস পুরোপুরি খুলে দিতে চান তিনি। ৮ জুলাই টুইট বার্তায় তিনি জানান, যেসব স্কুল-কলেজ
তার আহ্বানে সাড়া দেবে না, সেগুলোতে ফেডারেল মঞ্জুরি বাতিল করা হবে। এ ধরনের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বত্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ স্কুল ডিস্ট্রিক্ট হচ্ছে নিউইয়র্ক। এখানকার গভর্নর ও মেয়র মোটামুটি নীতিগত একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস চালুর জন্যে সপ্তাহে ৩ দিন করে গ্রুপভিত্তিক ক্লাস নেয়া হবে। অর্থাৎ বর্তমানের ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রথম ৩ দিন যারা ক্লাস করবে, পরবর্তী ৩ দিন তারা ছুটিতে থাকবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের কর্মকর্তারা
সব ক্লাস অনলাইনে হবে বলে চিন্তা করছেন। কারণ, ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে গেলে কখনোই তারা স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করবে না।