বাঘায় এক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে কাঠ ভাগাভাগি করেছেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনা জানাজানি হলে ফুঁসে উঠেন ওই এলাকার জনগণ। ঘটনার এক পর্যায় নির্বাহী কর্মকর্তার চাপের মুখে কাঠ ফেরত দিয়েছেন সভাপতি। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফজলুর রহমান স্কুলে ফার্নিচার (টেবিল-চেয়ার) বানানোর নামে বিদ্যালয়ের জমিতে লাগানো প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা মূল্যের তিনটি মেহগনির গাছ কর্তন করেন। এরপর সেই গাছের (ভালো সারযুক্ত কাট) নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং অবশিষ্ট কাঠ স্কুলের একটি রুমে রেখে দেন। এদিকে এ ঘটনার কয়েকদিন পর স্কুলের অন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয় লোকজন। এরপর তারা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন।
চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা টিনি, সাধু ও বিপ্লবসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, যে তিনটি গাছ কাটা হয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা। এদিক থেকে স্কুলের কক্ষে যে কাঠ রাখা হয়েছে তার বাজার মূল্য সর্বোচ্চ লক্ষাধিক টাকা। বাকি টাকার কাঠ কোথায় রাখা হয়েছে তা তদন্ত করে বের করতে হবে। তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তিরও দাবি জানান।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযোগ পাওয়ার এক পর্যায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিলে ঘটনার সত্যতা মিলে। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম নিজে বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে কাঠ ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তবে স্কুলের ফার্নিচার বানানোর বিষয়ে যে রেজ্যুলেশন হয়েছে সেটি তিনি মুখে স্বীকার করলেও দেখাতে রাজি হননি। অন্যদিকে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফজলুর রহমান সকালে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর কাছে কাঠ নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে দুপুরে তার বাড়ি থেকে ভ্যানযোগে স্কুলের অফিসকক্ষে কাঠ ফেরত দিয়েছেন বলে এই প্রতিবেদকের কাছে স্বীকারোক্তি দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন আমাকে অভিযোগ করলে আমি সভাপতি ফজলুর রহমানসহ প্রধান শিক্ষককে স্কুলের কাঠ স্কুলে ফেরত এনে সঠিক কাজে ব্যবহার করতে বলেছি।