অগ্নিকাণ্ডে জানমালে ক্ষতি কমাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিঁড়ি বাধামুক্ত রাখার সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চকবাজারে চুড়িহাট্টা, বনানী এবং গুলশানের ডিনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়। এ ধরণের ক্ষতি এড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিঁড়ি বাধামুক্ত রাখার সুপরিশ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। গত ৩ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি চিঠি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠায় তারা।
জানাা যায়, শহরের ভাড়া বাড়ীতে চলমান স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার দুটি সিঁড়ির একটি পুরনো আসবাবপত্রসহ অন্যান মালামাল রেখে দেয়া হয়। জরুরী নির্গমনের সময় ওই সিঁড়ি ব্যবহার করা যায় না। এর ফলে দূর্ঘটনায় পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
ফায়ার অধিদপ্তরের পরিচালক মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, লক্ষ করা যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ভবনেও অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে জানমালের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, স্কুল কলেজের সিঁড়ি বাধামুক্ত নয়। সিঁড়ি বাধামুক্ত না থাকায় অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হলে জানমালের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হবে। তাই জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সিঁড়ি সবসময় বাধামুক্ত থাকা প্রয়োজন।
তাই জনস্বার্থে স্কুল কলেজের সিঁড়ি সবসময় বাধা মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার চুরিহাট্টায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জন নিহত হন। গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। আর গত ৩০ মার্চ রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে কাঁচাবাজারে লাগা আগুণে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যায়।