যশোর শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বিভাগের নিম্নমান অফিস সহকারী রাসেল পান্নার বিরুদ্ধে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার খাতা (উত্তরপত্র) চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার কক্ষের আলমারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১শ’ খাতা (উত্তরপত্র)। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার আলমারিতে খাতা (উত্তরপত্র) পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ অভিযোগে রাসেল পান্নাকে শোকজ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার খাতা (উত্তরপত্র) কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত রুমে ঊর্ধ্বতন কাউকে না জানিয়ে রাখার কোন নিয়ম নেই। নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে রাসেল পান্না বাংলা প্রথমপত্রের ১শ’ খাতা রাখেন তার কক্ষের আলমারিতে। এই কর্মচারী জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলতে তিনি নিয়ম বর্হিভূতভাবে তার আলমারিতে খাতা রেখেছেন।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) সমীর কুমার কুন্ডু বলেন, এক কর্মচারীর মাধ্যমে শুনেছি তার আলমারিতে খাতা (উত্তরপত্র) ছিল। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানোর পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পিএ নজরুল ইসলাম গত রোববার খাতা (উত্তরপত্র) গুলি উদ্ধার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে রেখেছেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, উত্তরপত্রগুলো বর্তমানে আমার রুমে আছে। কি কারণে তিনি উত্তরপত্র নিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করার পর জানা যাবে। তবে তাকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কি কারণে পান্না কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তার কাছে খাতা রেখেছেন গতকাল এ ব্যাপারে তাকে শোকজ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, রাসেল পান্না উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বিভাগে খাতা (উত্তরপত্র) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করেন। তবে কি কারণে তিনি তার আলমারীতে খাতা (উত্তরপত্র) রেখেছেন তা খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান আবদুল আলীম জামাতপন্থী হিসেবে শিক্ষা প্রশাসনে পরিচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব আলীমকে চেয়ারম্যান পদে বসানোয় ভূমিকা রেখেছেন বলে জানা যায়।