শিক্ষা ব্যবস্থার দীনতা ও অব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি - Dainikshiksha

শিক্ষা ব্যবস্থার দীনতা ও অব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি

রুহিনা ফেরদৌস |

প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাস হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই।’

প্রমথ বাবু ভুল বলেছিলেন। বর্তমানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে দশা, সেখানে ‘পাস করা’ নাকি ‘শিক্ষিত হওয়া’, কোনো শর্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মানতে নারাজ। বরং শিক্ষা ব্যবস্থাকে যতটা বাণিজ্যিকীকরণ করা সম্ভব, তার সব আয়োজন সম্পন্ন। যে আয়োজনের আঁচল ধরে ইচ্ছামতো যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা, তেমনি ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্রের ফি, ভর্তি ফি, সেশন ফি বেড়ে চলেছে। অথচ মানের দিক থেকে প্রাচ্যের গর্বিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বেশির ভাগ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা যে কতটা সঙ্গিন, তার চিত্রটি উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের টাইমস হাইয়ার এডুকেশন ম্যাগাজিন প্রদত্ত টাইমস হাইয়ার এডুকেশন (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০১৯-এর তালিকায়। যেখানে কাজাখিস্তান, আফ্রিকার তানজানিয়া কিংবা ইরাকের মতো দেশ জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে ১ হাজার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোথাও বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই।

দিন কয়েক আগে ইরাকের বিশ্বসুন্দরী তারা ফারেজকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি উল্লেখ্য। এটি দেশটির গোঁড়া ধার্মিকদের কর্ম বলেই মনে করছেন অনেকে। যারা কিছুতেই নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এর আগেও ধর্মীয় মৌলবাদীদের হাতে হত্যার শিকার হয়েছেন ইরাকের আরো দুই নারী। যারা পেশায় ছিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ। ইরাকের মতো এমন একটি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যখন বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় বৈশ্বিক তালিকায় স্থান করে নেয়, অথচ বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হয় না, তখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। যেমন— এশিয়া কাপে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে কিংবা সাফ ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েরা প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের জালে একে একে ১৭টি বল পাঠিয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিসহ নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে জায়গা করে নিতে পারেনি। শিক্ষা ক্ষেত্রে যা আমাদের বড় ধরনের দীনতা। তাছাড়া তালিকায় নাম লিখিয়েছে ভারতের প্রায় অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নাম রয়েছে শ্রীলংকার কলম্বো এবং নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের। যদিও ২০১৭ সালেও টিএইচই তালিকায় নাম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। অবস্থান ছিল এক হাজারের পরে। তবে ২০১৫ সালে এ তালিকায় ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল প্রাচ্যের এ অক্সফোর্ড। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, তাহলে ক্রমে শিক্ষা ক্ষেত্রে কেন বিশ্বের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি? প্রতি বছর হাজার হাজার মেধাবী জিপিএ ফাইভপ্রাপ্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো কেন তাদের মেধার সদ্ব্যবহার করতে পারছে না? যোগ্যদের তুলে আনতে সক্ষম হচ্ছে না?

টিএইচই তালিকার গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়েছে। বিশ্বের ১ হাজার ২৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তালিকা করা হয়েছে, সেখানে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোই এগিয়ে রয়েছে, যারা গবেষণা কার্যক্রমে অন্যদের তুলনায় অগ্রসরমাণ। পরবর্তীতে একে একে প্রাতিষ্ঠানিক খ্যাতি, শিখন পদ্ধতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও আন্তর্জাতিক সংযোগের দিকগুলো দেখা হয়েছে। 

এক.

গবেষণা কার্যক্রম দিয়ে শুরু করা যাক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শূন্যতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় বণিক বার্তায় প্রকাশিত ‘গবেষণায় পথ হারিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়’ (আগস্ট ২০১৭) শিরোনামের প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন ২০১১ সালের পর তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য গবেষণা নেই, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫টি গবেষণা কেন্দ্রের মধ্যে ২৮-৩০টিতে কয়েক বছর ধরে মৌলিক কোনো গবেষণা হয় না। নাম আসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরও। অথচ আজ থেকে দুই কিংবা তিন দশক আগে মৌলিক গবেষণার উজ্জ্বল সংস্কৃতি ছিল এসব প্রতিষ্ঠানের। 

কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে না? তাহলে গবেষণা খাতের বরাদ্দের অর্থ কীভাবে খরচ হচ্ছে? এ প্রশ্নগুলো বহুল চর্চিত। যদিও এর কোনো সদুত্তর কেউ দিতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশন যদিও দাবি করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ কম দেয়া হচ্ছে। অথচ তাদের এ দাবিকে গ্রাহ্য করে সমস্যার জুতসই সমাধানের মনোযোগ নেই।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে গবেষণার পেছনে যেখানে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়, প্রচুর পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকে। আমরা কেন মনে রাখছি না, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যদি মৌলিক গবেষণার সংস্কৃতি ক্রমে লুপ্ত হয়, তাতে দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার গুণগত মানের ওপর তীব্র নেতিবাচক প্রভাব পড়বে (এরই মধ্যে পড়ছেও), যা আমাদের শিক্ষার জন্য অশনিসংকেত হয়ে আসছে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তো দূরের কথা, এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন কিছু উচ্চশিক্ষিত শ্রেণী তৈরি করে, যারা মগজের অন্দরে এক ধরনের শূন্যতা নিয়ে ঘোরে। সমাজে, সংস্কৃতিতে তেমন কোনো অবদান রাখার সামর্থ্য তাদের হয় না।

দুই.

এদিকে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যেখানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের সহযোগী ভূমিকা রাখার কথা ছিল, বিপরীতে বেশির ভাগই অদ্ভুত উটের পিঠে সওয়ার হয়ে চলেছে। কোথায় চলেছে তা কেউ জানে না। দেশে বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা শতাধিক। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিক উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকা যেখানে বাধ্যতামূলক, সেখানে ৯১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টিতেই নেই কোনো উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ নেই ৪৯টিতে (সূত্র বণিক বার্তা, ২৪ সেপ্টেম্বর)। কিছুদিন পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা, অব্যবস্থাপনা, অসঙ্গতি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় কিন্তু এর বিপরীতে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণের কথা আমরা শুনি না।

চাইলে আমরা পাশের দেশ ভারতের উদাহরণ নিতে পারি। শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি সাধনে পুরনো সিলেবাস ঢেলে সাজানো, ক্যারিয়ার ফোকাস লার্নিং ব্যবস্থা চালু, গ্রামীণ শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ, বেশি বেশি প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হয়েছে। বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিক পার্টনারশিপ প্রোগ্রামটি এর কার্যক্রমের জন্য প্রশংসিত। টিএইচই ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০১৯ তালিকায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয়ার ক্ষেত্রেও এটি ভূমিকা রেখেছে।

তিন.

আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের পরিশ্রম, চেষ্টা ও মেধা দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছেন। যেমন— ড. রুবাব ইমরাজ খান সৌরভ। যিনি কিনা নাসার একটি গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে ভরহীন কণা আবিষ্কারে সাফল্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশী পদার্থবিদ মোহাম্মদ জাহিদ হাসান। এ অর্জনগুলো গর্বের কিন্তু আমরা মেধাবী এমন অনেক মানুষকে দেশে ধরে রাখতে পারছি না। শিক্ষা ব্যবস্থার পাশপাশি শিক্ষাদানের পরিবেশ, পরিস্থিতির দিকেও নজর দেয়া জরুরি। আমাদের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের গল্প শোনা যায়। আর দু-একটি ছাড়া বাকি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের বিপরীতে অবকাঠামোহীন ও হাতেগোনা ব্যক্তি দ্বারা পরিচালনার বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য। এমন একটি জোড়াতালির শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যেমন আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যায় না, তেমনি গুণী মানুষগুলোকেও দেশে এসে দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে উৎসাহী করা সম্ভব হয় না।

শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা জরুরি। মানবসম্পদ আমাদের দেশের অন্যতম সম্ভাবনার উৎস। মনে রাখতে হবে একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন তখনই হয় যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটে। শিক্ষা ব্যবস্থার দীনতা কাটিয়ে তাই যোগ্য মানবসম্পদ তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। জোড়াতালির শিক্ষা পদ্ধতি দিয়ে শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা সম্ভব নয়। তাছাড়া উচ্চশিক্ষার মান ভালো না হলে যোগ্য ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি হয় না। জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে, গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে। তালিকায় এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে সফলতা অর্জন করেছে জাপান। মোট ১০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে দেশটি যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলেছে। প্রসঙ্গত, জাপানে রয়েছে গবেষণাভিক্তিক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সরকারকে মৌলিক নীতিমালা প্রণয়নের কথা ভাবতে হবে। এভাবেই গবেষণা, শিক্ষার মাধ্যমে হারানো স্থান হয়তো একদিন ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে। সেরা হিসেবে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কিন্তু তালিকার প্রথম স্থানটি উজ্জ্বল করে রেখেছে। সেখানে ১ হাজার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি যখন খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্য আর লুকানো যায় না। 

 

লেখক: সাংবাদিক

 

সৌজন্যে: বণিক বার্তা

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039072036743164