আমাদের বিপুল জনসংখ্যার দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত প্রায় সব বয়সের সব মানুষকে সেবাদানে বাধ্য। ’৭১-এ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সঠিকভাবে উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করে এ দুটি মৌলিক সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সে সময় সাঁইত্রিশ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রাথমিক শিক্ষা সেবাকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত, বেতনহীন, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের ব্যবস্থা গৃহীত হয়। এ সময় থেকেই দরিদ্র ও নিরক্ষর বাবা-মায়ের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বাধাহীন হয়ে শিশুদের অধিকারে পরিণত হয়। এ সময় থেকেই কোটি শিশুকে শিক্ষাদান করতে প্রায় এক লাখ শিক্ষক নিযুক্ত হন। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়।
উপসম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, এদের ওপরে থানা/উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মহাপরিচালক, পরিচালকবৃন্দের পদ সৃষ্টি হয়। ক্রমে, ধাপে ধাপে মাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এবং স্বাধীন দেশের উপযোগী নানা রকম সংস্কার সাধনের জন্য কুদরতে খুদা শিক্ষা কমিশন ও ’৭৩-এর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়। সবক্ষেত্রে বিপুল কর্মযজ্ঞ চলছিল। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- সংঘটিত হলে সব জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মকা- বন্ধ হয়ে যায় এবং দেশের পরিবেশ, পরিস্থিতি বিপরীত স্রোতে পরিচালিত করে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক শাসক নামক ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির জোট।
এরপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, শিশু ও শিক্ষার্থী সংখ্যার চাপে বেসরকারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে। প্রথমদিকে, মাধ্যমিক শিক্ষা অর্থাৎ ক্লাস সিক্স থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের জন্য বেসরকারী স্কুল সরকারী জেলা স্কুলগুলোর পাশে ভাল মানসম্পন্ন স্কুল হিসেবে গড়ে ওঠে। ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত জেলা স্কুলগুলোতে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হতো। এগুলো সে সময়ের উচ্চমানসম্পন্ন মেধাবী শিক্ষক-গবেষক-নানা পেশাজীবীর জন্ম দিয়েছে। জনসংখ্যার চাপ ধীরে ধীরে অসংখ্য বেসরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্ম দিয়েছে। যেগুলো সরকারী স্কুলের পাশে শিক্ষার চাহিদা থাকার কারণে শিশুদের জন্য তাদের নিজস্ব শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করে শিক্ষা প্রদান করতে থাকে। দেশে স্বাধীনতার পর রাজধানী ও চট্টগ্রামে কিছু ইংরেজী মাধ্যমের স্কুল একেবারে শিশু শ্রেণী থেকে ম্যাট্রিক বা ‘ও’ লেভেল, এ লেভেল পর্যন্ত অর্থাৎ, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু করে।
এই ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলগুলোর অনুকরণে দেশে এক শ্রেণীর মানুষ শিক্ষার মাধ্যমে ভাল অর্থ উপার্জন সম্ভব মনে করে ‘কিন্ডারগার্টেন’ নাম দিয়ে শিশুদের জন্য এক শ্রেণীর স্কুল প্রতিষ্ঠা করে, যার সংখ্যা খুব দ্রুত মফস্বল শহরগুলোতে অনেক বৃদ্ধি পায়। এরাও শিক্ষার চাহিদা পূরণ করতে থাকে, যাতে নিযুক্ত হয় শিক্ষক হিসেবে হাজার হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। ১৪/১৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রধানত ইংরেজী মাধ্যম স্কুল থেকে ‘এ’ লেভেল পাস করা শিক্ষার্থীদের ইংরেজী মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের চাহিদা পূরণের বাস্তবতাকে ব্যবহার করে শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করে। আজকের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেতনসহ অন্যান্য ফি সরকারী মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ফির সঙ্গে তুলনা করলে যে কোন মানুষ বিস্মিত হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছেÑ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অধিকাংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে আগত! দেখা যাচ্ছে, মফস্কল-গ্রামের বড় গৃহস্থ বা কৃষক-সন্তানরাও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ বেতনের শিক্ষা গ্রহণ করছে। ধনী-ব্যবসায়ী উচ্চবিত্তের সন্তানরা ‘এ’ লেভেল পাস করে বিদেশের, প্রধানত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে।
যা হোক, আমাদের মাথাব্যথা দেশের সরকারী-বেসরকারী সব বিদ্যালয়, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ওপর করোনাভাইরাসের অকল্পনীয় চলমান বিপর্যয় থেকে কিছুটা সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা। আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবÑ
শিশু-কিশোর গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও স্কুল বাদ দিচ্ছে এবং পরিবারে কোন আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থায় প্রবেশ করছে। অনেক কিশোরী পরিবারের চাপে বাল্য বিয়েতে রাজি হয়ে অনতিকাল পরই সন্তানের জন্ম দেবে বা জন্ম দিতে গিয়ে প্রাণ হারাবে। প্রাণে বাঁচলেও রোগাক্রান্ত থাকবে। ফলে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধমুখী হবে, মাতৃমৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাবে, বালিকা শিক্ষার হার হ্রাস পাবে।
বেসরকারী স্কুলগুলো শিক্ষকদের বেতন দিতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে শিশুরা শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে। ভুলে যাচ্ছে ভাষা ও গণিত শিক্ষার অর্জিত দক্ষতাগুলো। যেগুলো দ্রুতই অনুশীলনের সুযোগ না পেলে শিশুরা আবার নিরক্ষর বা অ-সাক্ষর হয়ে পড়বেÑ
উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেশনজটে পরে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব অনার্সের বিষয়বস্তুগুলো বিশদভাবে পড়ার, গবেষণা করার সুযোগ পাবে না। ফলে নির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে তারা অর্ধ-শিক্ষিত হয়ে বের হবে।
* উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করা শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা বা গ্রাজুয়েশনে ভর্তি হতে পারবে না।
* মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে না। এসব উপরোক্ত যে কোন একটি ঘটনা শিক্ষার পক্ষের অন্তরায় হবে, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
কোভিড-১৯ এর আক্রমণ ৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে জুলাই মাসে সম্ভবত বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা শেষ হবে। আগস্টে আশা করছি এর সংক্রমণ কমে আসবে। অর্থাৎ, এই পাঁচ মাসে জনগণ কোভিড-১৯ থেকে আত্মরক্ষার উপায় শিখেছে। আবার কোভিডের সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতেও শিখেছে। আশ্চর্য হলেও সত্য প্রধানমন্ত্রী যখন ‘লকডাউন’-এর বদলে ছুটি ঘোষণা করে প্রকৃতপক্ষে কোভিড-১৯ ও জীবিকা আয়মূলক কাজকে পাশাপাশি রাখার নীতি গ্রহণের নির্দেশ দেন, তখন প্রায় সবাই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছিল। আমরাও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, এর ফল ইতিবাচকই হয়েছে। কি কি ঘটেছে?
অনেক রিক্সা-সিএনজি চালক গাড়ি নিয়ে বের হয়ে অল্প হলেও কিছু আয় করেছে। বেশ কিছু গার্মেন্টস স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিধান, মাস্ক ইত্যাদি দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করে রফতানি করতে পেরেছে। শ্রমিকরা বেতন পেয়েছে।
কৃষকের জমির ধান কাটতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাসে শ্রমিক আনা-নেয়া করার সুযোগ তৈরি হওয়ায় গ্রামের কৃষক-শ্রমিক ধান-চাল-মজুরি পেয়েছে।
গ্রাম থেকে কৃষকের সবজি-ডিম-মুরগি-মাছ পরে আম-ফল ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে রেলে-ডাকঘরের গাড়িতে বিনামূল্যে আনার ব্যবস্থা করে কৃষক-ব্যবসায়ী ক্রেতার আর্থিক উপকার সাধন করেছে।
পাশে টিসিবির ট্রাকে দশ টাকা কেজির চাল, অন্যান্য পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা এবং চালসহ তেল, লবণ, আলুর ত্রাণসাহায্য অনেক মধ্যবিত্তকেও সাহায্য করেছে।
এগিয়ে এসেছে ঢাবি শিক্ষার্থী, দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর দল। ত্রাণের নানা উদ্যোগ কর্মহীন, বেকার বিভিন্ন পেশাজীবীকে নানাভাবে আর্থিক ত্রাণসামগ্রী, এক বেলার আহার প্রদান প্রভৃতি কর্মকা- খুবই সহায়ক হয়েছে, যাদের আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা সহায়তা দিয়ে তাদের উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরেছি। অনেক শিক্ষক গান-বাজনার টিউশনি করে চলা পরিবার, কর্মহীন হয়ে পরা মধ্যবিত্ত, হিজড়া, যৌনকর্মী, কারুশিল্পীসহ দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করতে পেরেছে।
কিন্তু শিক্ষার্থী-শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণীর শিক্ষা এবং তাদের শিক্ষকদের কাজ পাঠদানÑ কিভাবে রক্ষা করা যাবে? এ প্রশ্ন এখন জীবন ও জীবিকা রক্ষার মত সমান গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এর সমাধানের পথ বের করা।
আপাতত পৃথিবীর সব দেশে ছুটি হওয়ার আগে পর্যন্ত অনলাইনে অর্থাৎ, ইন্টারনেটে পাঠদানের কাজটি চলেছে। আমাদের দেশেও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজী মাধ্যম স্কুল ও কিছু সরকারী স্কুলে অনলাইনে ও বিটিভির মাধ্যমে পাঠদান কাজ চলছে। সামান্য যা দেখেছি, তাতে বিজ্ঞান, ইংরেজীর শিক্ষকদের পাঠদানকে খুবই ইমপ্রেসিভ লেগেছে। এখন কথা হচ্ছে- পরীক্ষা। আমাদের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে? নাকি, পাশ্চাত্যে যেমন ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফাইনালটি বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘এ’ লেভেল ফার্স্ট পার্টের ফল দেখে একটা গড় করে ফল প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে, সে রকম করবে। অথবা, মাধ্যমিক পরীক্ষাকে স্কুলভিত্তিক করা যেতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিককে কলেজভিত্তিক পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। স্কুলের নিচের দিকের পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণী অন্তে যে অপ্রয়োনীয় পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, সেগুলোকে করোনাভাইরাস অপ্রয়োজনীয়, ব্যয়বহুল, সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করেছে। এখন কৃচ্ছ্রতার প্রয়োজনের নিরিখে এই দুটো পরীক্ষাই বাদ দেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কিছু বিষয় আছে, সেগুলো পরীক্ষা না নিয়ে এসাইনমেন্ট দিয়ে তার ওপর গ্রেড বা নম্বর দিতে পারা সম্ভব। যেমন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ‘ধর্ম ও নীতি শিক্ষা’ ইত্যাদি।
মোটকথা হলো, মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে সব শিক্ষার্থীর জন্য বাংলা, ইংরেজী ও গণিত পরীক্ষা নেয়া দরকার। এ দুই পরীক্ষায় এ তিন বিষয়ে সব পরিক্ষার্থী থাকবে। যদি অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হয় এবং এক বা দু’ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে নিজ স্কুলে বা কলেজে পরীক্ষা হতে পারে। এক স্কুলের পরীক্ষার্থী অন্য স্কুলে পরীক্ষা দেয়ার পুরনো নিয়মটি পুনঃপ্রবর্তন করলে মনে হয় সবার জন্য পরীক্ষা দেয়া ও নেয়া সহজ হয়। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক দুটোর পরীক্ষাই পরীক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে অন্য কলেজে পরীক্ষা দিতে পারে। দূরত্ব বজায় রাখার জন্য একই পরীক্ষা দুই পর্যায়ে গ্রহণ করা যেতে পারে ভিন্ন সেটের প্রশ্নপত্র দিয়ে। শ্রেণীর পড়াশোনার জন্য বিটিভি, মোহনা টিভিতে ক্লাস নিতে দেখা গেল। শিক্ষকদের মান ভালোই দেখলাম। সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের রেডিও ও সব টিভি চ্যানেল একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট বিষয়ে পাঠদান করলে সব শিক্ষার্থী যে কোন চ্যানেলের পাঠ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। এ জন্য ভাল শিক্ষকদের তালিকা করতে হবে, চ্যানেল হবে এবং প্ল্যানও করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট দিতে পারে। সেগুলো সব ছাত্রছাত্রী কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে নিজেরা নির্দিষ্ট টাইমে ই-মেইলে জমা দেবে। মাঝে মাঝে অনলাইনে শিক্ষাদানও করা যেতে পারে। সেখানে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার বা তথ্য কেন্দ্রের কম্পিউটার ব্যবহার করে ওই এলাকার অন্তত ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী একত্রে পাঠটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। কেউ কেউ বন্ধুদের কম্পিউটারে একত্রে বসতে পারে।
সবশেষে বলি, বৃক্ষ দিল সুমিষ্ট ফল, মানুষ করল ওষুধযুক্ত বিষাক্ত ফল। ৪-৫ বার নানা জায়গা থেকে কিনেও স্বাভাবিক ওষুধহীন আম কিনতে পারলাম না। বার বার ফেলে দিতে হলো। শুধু সাহেদ, সাবরিনা, সহিদেরা মানুষ হত্যা করে না। এই আমগুলোও ক্যান্সার তৈরি করবে। সংবাদপত্রে দেখলাম পদ্মার তীরে নাকি স্টেডিয়াম তৈরি হবে আর তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আমলা দল কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ ভ্রমণ করবে। প্রথমত বলব, প্লাবন ভূমি এবং ব-দ্বীপে পদ্মার মতো ভাঙ্গণপ্র্রবণ নদীতীরে স্টেডিয়াম কেন, কোন স্থাপনাই টিকবে না। বরং পদ্মা সেতুটি দীর্ঘদিন টিকে থাকা জরুরী। এসব অলিক স্বপ্ন দেখায় কারা? এসব অন্তত ২/৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকতে হবে দেশের কৃচ্ছ্রতার লক্ষ্যে। এরা আর সাহেদরা একই দলের লোকÑসাবধান!
লেখক : মমতাজ লতিফ, শিক্ষাবিদ