জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আগামী ২৭ ও ২৮ মে দুইদিন ব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী এ প্রতিযোগিতা ১২ থেকে ১৩ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার (৭ মে) শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রতিযোগিতার সূচি পরিবর্তন করা হয়। অধিদপ্তরে পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১২ থেকে ১৮ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ও ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় থানা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। ২৪ ও ২৫ মার্চ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শেষ হয়। আগামী ২৭ ও ২৮ মে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিযোগিতায় ১২টি বিষয় রয়েছে। এগুলো হলো কেরাত, হামদ্ ও নাত, অনির্ধারিত বিষয়ে বাংলা রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরচিত বা নির্বাচিত বাংলা কবিতা আবৃত্তি, একক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত, জারীগান, তাৎক্ষণিক অভিনয়, উচ্চাঙ্গ নৃত্য এবং লোক নৃত্য।
এদিকে গত বছরের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিযোগিতায় মণিপুরী নৃত্যের একাডেমিক ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিচারক না রাখায় বিজয়ী প্রতিযোগী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। প্যানেলে ভরতনাট্যম ও কত্থক নৃত্যের বিচারক রাখা হলেও মনিপুরী নৃত্যের কেউ ছিলেন না। তবে এবার মনিপুরী নৃত্যের একাডেমিক ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিচারক রাখা হবে বলে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন অধিদপ্তরে পরিচালক (প্রশিক্ষণ)ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য।
বিশেষজ্ঞ বিচারক রেখে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন অভিভাবকরা।মণিপুরী নাচ একমাত্র কাসিক্যাল নৃত্য যা বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি হয়ে উঠছে। এ নৃত্য এদেশের আদিবাসী মণিপুরী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি- যা শত বছর ধরে লালিত, পালিত, চর্চিত ও উদযাপিত হয়ে আসছে। এমনকি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মণিপুরী নৃত্যকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।