শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাক্রম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে কনটেন্ট যুগোপযোগী হতে হবে, বিষয়বস্তু অবশ্যই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলা করার মত উপযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। বিনোদনের মাধ্যমে যে শিক্ষা দেয়া হয় তা খুবই টেকসই হয়। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবির সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০২০ খ্রিষ্টাব্দের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বই বাজারজাতকরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা চাকরি করেন তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষাক্রম নির্ধারণ করা হয়।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুন্শী শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
সরকারের অর্জনের সহযোগী হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ হাসিলে বাজারে নকল বই বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি। দেশের কথা ভেবে অপরাধ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠান, নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ, এবং নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা।
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুন্শী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আরও আগে বই ছাপতে পারলে ভালো হতো। তারপরও ক্লাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে বই বাজারে সরবরাহ করা বড় ধরনের সফলতা।
উল্লেখ্য, এবার বাজারে ৩০ লাখ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ২০ লাখ বই ইতোমধ্যে দেশের ৬৪টি জেলার ৪ হাজার বইয়ের দোকানে সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।