জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট কোর্সটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং কাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। কোভিড-১৯ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে লাভবান করেছে। কারণ সারাবিশ্বের প্রযুক্তি ব্যবহারের যে বাস্তবতা তার সাথে জনগণ খুব সহজে নিজেদের মানিয়ে নিতে শিখেছে। এতে ব্যাপক হারে অর্থ এবং সময় হ্রাস পাচ্ছে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিবদের অংশগ্রহণে অনলাইনে ‘ই-নথি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে কর্মকর্তাদের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা ও সক্ষমতার উপর। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদের দক্ষ নেতৃত্বে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতায় রূপ লাভ করেছে।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সুপরিকল্পিত নীতির মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদেরকে তৈরি করতে পারলে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে এবং সকল কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্চমানের সম্পদে পরিণত করতে পারলে সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকাণ্ড সহজ করে তোলা সম্ভব। আগামী দিনের সোনার বাংলা গড়তে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে ও এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব ও এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এবং এটুআইয়ের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (সিনিয়র সহকারী সচিব) নিলুফা ইয়াসমিন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সরকারের ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ই-নথি এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ই-সার্ভিস কার্যক্রম শুরু হলেও সে সময় ইনফ্রাস্ট্রাকচার ততটা উন্নত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত হওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে ই-নথির কার্যক্রম প্রসারিত হয়েছে। তিনি বলেন, ই-নথি থেকে এর তৃতীয় সংস্করণে ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর কারার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সসহ নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এবং নথির নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি আরো সুদৃঢ় করা হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ই-নথি ৮ হাজারের বেশি অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও খুব দ্রুত ৪৫ হাজার সরকারি অফিসে ই-নথি কার্যক্রম প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।